টঙ্গী( গাজীপুর) প্রতিনিধি: টঙ্গীতে ঢাকা- ময়মনসিংহ মহাসড়কে গাড়িতে আগুন দিতে গিয়ে সাইফুল ইসলাম নয়ন(২৩) নামে এক ছাত্রদল নেতা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। এর আগে দুই থানায় গ্রেপ্তার হন বিএনপি ও যুবদলের তিন নেতা।
নয়ন টঙ্গীর গাজীপুরা চন্দ্রিমা এলাকার আব্দুস সাত্তার এর ছেলে। তিনি টঙ্গী পশ্চিম থানা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক।
সোমবার( ৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় টঙ্গীর চেরাগআলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সোমবার সন্ধ্যায় টঙ্গীর চেরাগআলী এলাকায় ছাত্রদলের ১০-১২জন নেতাকর্মী ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ঢাকামূখী লেনে পেট্রোল বোমা দিয়ে একটি যাত্রীবাহি বাসে আগুন ধরিয়ে দিতে চেষ্টা করে।এ সময় সড়কে থাকা টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশের একটি টহল দল তাদের দেখতে পেয়ে ধাওয়া দিলে নেতাকর্মীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় পুলিশের হাতে আটক হন ছাত্রদল নেতা নয়ন। পরে টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ ছাত্রদল নেতা সাইফুলকে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো.মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ছাত্রদল নেতাকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার কাছ থেকে পেট্রোল বোমা জব্দ করা যায় নি।এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এর আগে ওসি একজন যুবদল নেতা গ্রেপ্তারের কথা বলেছেন।
টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি সাখাওয়াত হোসেন জানান, তিনি বিএনপির একজন ও যুবদলের একজন নেতাকে গ্রেপ্তার করেছেন। তারা মামলার আসামী।
এ ছাড়া গতকাল সোমবার ভোরে ফজরের আযানের পর টঙ্গী বনমালা রেলক্রসিং এর পাশে রেললাইনের উপর বিক্ষোভ করে পালিয়ে যায় জামায়াত শিবিরের কয়েক নেতা-কর্মী। খবর পেয়ে পুলিশ গেলে তারা পালিয়ে যায়। একই সময় টঙ্গী-জয়দেবপুর স্টেশনের মাঝামঝি স্থানে ধীরাশ্রম এলাকায় রেললাইনের উপর টায়ার জ¦ালিয়ে বিক্ষোভ করে জামায়াত। পুলিশ গেলে তারাও সটকে পড়ে।
জয়দেবপুর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে গিয়ে দেখি ওরা পালিয়েছে। তবে রেললাইনে টায়ার জ¦ালানোর সময় কোন ট্রেন যাতায়াতের সিডিউল ছিল না।