মাসুদ রানা সরকার, বগুড়া জেলা প্রতিনিধি :বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলের ডাকা দ্বিতীয় দফার অবরোধের প্রথম দিনে বগুড়া সদরের ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে অন্তত সাতটি গাড়ি ভাঙচুর এর ঘটনা ঘটেছে। এ সময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।শহরের মহাসড়ক গুলোতে ছিলিমপুর তেলিপুকুর এলাকায় গত রোববার, ৫ নভেম্বর /২৩ সকাল আটটা থেকে সাড়ে আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তেলিপুকুর এলাকার মহাসড়কে অবরোধের সমর্থনে জেলা বিএনপির একাধিক নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়েছিলেন। সকাল আটটার দিকে রংপু্রের দিক থেকে আসা কয়েকটি গাড়ি পুলিশী পাহারায় ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। এ সময় অতর্কিতভাবে অবরোধকারীরা মহাসড়কের ওপর এসে এলোপাথাড়ি হামলা করেন। হামলায় প্রায় সাত থেকে আটটা গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এর মধ্যে শিশুখাদ্য পরিবহনের গাড়ি, কাভার্ড ভ্যান, ট্রাক ছিল।কিন্তু তৎক্ষনাৎ ঘটনাস্থলে জেলা পুলিশের একাধিক ইউনিট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তবে এসময় অবরোধকারীরা চোরাগুপ্তাভাবে হাতবোমা ও বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরন ঘটায়। শিশু খাদ্য পরিবহনের গাড়ির সহকারী মইনুল ইসলাম জানান, তারা পার্বতীপুর থেকে দুধ নিয়ে গাজিপুর যাচ্ছিলেন। এখানে পুলিশ পাহাড়া দিয়ে তাদের পার করে দিচ্ছিল। কিন্তু এই এলাকায় (তেলিপুকুর) হঠাৎ গলি থেকে একাধিক লোকজন বের হয়ে ইট পাটকেল ছুঁড়ে গাড়ির গ্লাস ভেঙ্গে দেয়। ওরা সাত থেকে আটটা গাড়ি ভেঙ্গেছে।আর জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী রিগ্যান দাবি করেন, সকাল থেকে অবরোধের সমর্থনে তারা তেলিপুকুর এলাকায় অবস্থান করছিলেন। এ সময় পুলিশ তাদের অবরোধে বাধা দেয়। তারা প্রতিরোধ করলে পুলিশের ছোড়া বুলেটে বিএনপির চার নেতাকর্মী আহত হন। তাদের এক দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথ থেকে সরবে না। সামনে আন্দোলন আরো জোরদারের কথাও বলেন এই ছাত্রনেতা।এদিকে গুলি করার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন জেলা পুলিশের সংশ্লিষ্টরা।পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মহাসড়কে অবস্থান নিয়েছেন। র্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার মীর মনির হোসেন বলেন, জনগণের নিরাপত্তায় র্যাব মাঠে আছে। সকালে তেলিপুকুর এলাকায় কিছু সমস্যা হয়ে হয়েছে। তবে এখন পরিস্থিতি সব স্বাভাবিক আছে।