মাসুদ রানা সরকার, বগুড়া জেলা প্রতিনিধি: বগুড়া জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেছেন, সরকার আলুর দাম কোল্ডস্টোরেজ ও খুচরা পর্যায়ে বেঁধে দেয়া সত্বেও বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানা যায়, হিমাগার ও ভোক্তা পর্যায়ে। খুচরা পর্যায়ে একপ্রকার দ্বিগুণ দামে আলু কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। আলুর বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকারিভাবে প্রতিটি জেলায় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার,২ নভেম্বর /২০২৩, থেকেই বগুড়ায় বাজার এবং কোল্ড স্টোরেজ পর্যায়ে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হবে। যদি কেউ সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। সেই সাথে ক্লোড স্টোরেজগুলোতে আলু মজুদ থাকা সত্বেও যদি কোন মালিকপক্ষ আলু না দেন তাহলে সেগুলো বের করে ভোক্তা পর্যায়ে সরকারি মূল্যে বিক্রি করা হবে। সরকারি নির্দেশনা না মানলে অভিযান চালিয়ে হিমাগার সিলগালা করারও হুঁশিয়ারি দেন জেলা প্রশাসক।
গত বৃহস্পতিবার,২ নভেম্বর/২৩, সকাল ১১টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সভাকক্ষে ‘সরকার নির্ধারিত মূল্যে আলু বিক্রি নিশ্চিত করতে বগুড়ার স্টোরেজ মালিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম উপরোক্ত কথাগুলি বলেন। মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক মাসুম আলী বেগ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মাদ আল মারুফ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো. মেজবাউল করিম, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বগুড়ার সহকারি পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী, জেলা ক্লোড স্টোরেজ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদসহ ক্লোড স্টোরেজের মালিক ও প্রতিনিধিবৃন্দ।মতবিনিময় সভায় প্রতিটি ক্লোড স্টোরেজে সরকারি নির্ধারিত মূল্য আলু ২৭ থেকে ২৮টাকা কেজি বিক্রির নির্দেশান দেয়া হয় এবং খুচরা বাজারে ভোক্তা পর্যায়ে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে বলা হয়।
উল্লেখ্য, বগুড়ার বিভিন্ন বাজারে এখনও ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি হচ্ছে। সরকার নির্ধারিত মূল্যে খুচরা বা কোল্ড স্টোরেজ কোন পর্যায়েই আলু বিক্রি করা হচ্ছে না।