মাসুদ রানা সরকার, বগুড়া জেলা প্রতিনিধি ঃ বগুড়ায় বিএনপি ও সমমনা দলের ডাকা ২য় দিনের অবরোধ কর্মসূচিতেও উত্তপ্ত হয়ে আছে সদর থানা এলাকা। সকাল থেকেই মাটিডালি, বাঘোপাড়া বন্দর ও তিনমাথা এলাকায় থেমে থেমে চলছে পুলিশের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া।গত বুধবার,২ নভেম্বর /২৩ দুপুুরে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের বাঘোপাড়া এলাকায় মালবাহী একটি ট্রাকে মুখোশ পরে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বালু আর পানি ছিঁটিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে ঘটনাস্থলে থেকে কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।ট্রাক চালকের সহকারী শাওন নামের যুবক বলেন, মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রাম থেকে নির্মাণ সামগ্রীর মালামাল নিয়ে বগুড়ার মহাস্থানে এসেছিলেন তারা। সেখান থেকে মালামাল আনলোড করার জন্য বগুড়া সদরের পল্লীমঙ্গল যাচ্ছিলেন। পথে বাঘোপাড়াতে কিছু যুবক পেছনে গোকুল থেকে অটোরিকশায় এসে ট্রাক থামাতে বলেন। তারা ৭জন ছিলেন আর সবার মুখেই মুখোশ পরা ছিল। কিছু বুঝে উঠার আগেই ট্রাক ভাংচুর শুরু করে পেট্রোল ছিঁটাতে থাকেন দুর্বৃত্তরা। জীবন বাঁচাতে ট্রাক থেকে নেমে তিনি ও চালক পালিয়ে যান। এরপরে তারা ট্রাকে আগুন দিয়ে আবারও অটোরিকশাতে চড়ে গোকুল দিকে চলে যায়।এ প্রসঙ্গে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলাম বলেন, ট্রাকটিতে নির্মাণ সামগ্রীর প্রায় ১৫ লাখ টাকার মালামাল ছিল। সেগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি। পুলিশের ধৈর্য্যশীল আচরণের পরেও আন্দোলনের নামে দুর্বৃত্তরা লুকিয়ে হামলা চালাচ্ছে। দিনশেষে আইনের হাত থেকে কেউ রক্ষা পাবেনা মর্মে দুবৃর্ত্তদের কঠোর হুঁশিয়ারি দেন এই কর্মকর্তা।এর আগে একই এলাকায় মঙ্গলবার দুপুরে এ জে আর কুরিয়ার সার্ভিসের একটি কাভার্ডভ্যানে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে ভ্যানে থাকা গ্রাহকদের মোবাইল, ল্যাপটপসহ গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট পুড়ে গিয়ে প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।