বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের পরিকল্পিত তাণ্ডব ও সশস্ত্র হামলা নজিরবিহীন ও ন্যাক্কারজনক।’
একইসাথে মহাসমাবেশে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের হামলা ও গুলিতে যুবদল নেতা শামীম হত্যার অভিযোগ তুলে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিএনপির মহাসমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করার পর থেকে আওয়ামী লীগের নেতাদের এবং পুলিশের বক্তব্যেরই প্রতিফলন বিএনপির কর্মসূচিতে সশস্ত্র এবং রক্তাক্ত আক্রমণ। বেশ কয়েক দিন ধরে পুলিশের গণ-গ্রেফতার, হামলা ও হুমকি-ধামকি এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের লাঠি হাতে বিএনপির মহাসমাবেশ প্রতিহতের ঘোষণারই বাস্তবায়ন হয়েছে আজ। বিএনপি নেতা-কর্মীদের মহাসমাবেশে যোগদানে বিরত রাখতে গ্রেফতার ও মামলার হিড়িক চালিয়ে চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে আজ যখন দেখে সকালেই মহাসমাবেশে মানুষের ঢল নেমেছে, মহাসমাবেশ কাকরাইল ছাড়িয়ে পশ্চিমপার্শ্বে কাকরাইল মসজিদ পর্যন্ত ছাড়িয়ে গেছে তখন পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা লাঠি নিয়ে, অস্ত্র নিয়ে বিএনপির লোকদের ওপর হামলা করে। তারা গুলি করতে করতে রাবার বুলেট, টিয়ারশেল ছুঁড়তে ছুঁড়তে নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয় পর্যন্ত চলে আসে। পুলিশের টিয়ারশেল ও গুলিতে মঞ্চে থাকা সিনিয়র নেতারাও মারাত্বক আঘাতপ্রাপ্ত ও আহত হন। এ সময় অসংখ্য নেতা-কর্মীও আহত হয়েছে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘পুলিশের গুলিতে মুগদা থানা যুবদল নেতা শামীম নিহত হয়েছেন। এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, দলের ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জিলানি, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহসহশ্রাধিক নেতা-কর্মী গুলিবিদ্ধ ও গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অসংখ্য গণমাধ্যমকর্মী। তাদের রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আজ সকাল থেকে এখন পর্যন্ত তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত কয়েক দিনে পুলিশ বিএনপির দুই হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। বাস, ট্রেন ও লঞ্চ বন্ধ করে যখন সরকার আমাদের মহাসমাবেশ ঠেকাতে পারেনি, তারা যখন দেখছে বাধা উপেক্ষা করে মহাসমাবেশে লাখ লাখ লোক যোগ দিয়েছে তখন তারা পরিকল্পিতভাবে হামলা করে আমাদের সমাবেশ পণ্ড করে দিয়েছে। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে সরকার সম্পুর্ণ মাস্টারপ্ল্যান করে বিএনপির সমাবেশে হামলা করিয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘বিএনপির সমাবেশে আওয়ামী সন্ত্রাসী ও পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাাচ্ছি। আটকদের মুক্তি দাবি করছি, আহতদের সুস্থতা কামনা করছি।’
আগামীকালের (রোববার) হরতাল সফল করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।