রাজধানীতে বিজিবি মোতায়েন

Slider জাতীয়


রাজধানীতে মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এছাড়া রোববার সারাদেশে হরতাল ডেকেছে বিএনপি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এমন অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১১ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে।

শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিজিবির সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, এরমধ্যে ৫ প্লাটুন রাতে রাজধানীতে টহল দিবে (রমনায় এক প্লাটুন, মতিঝিলে ২ প্লাটুন, পল্টনে ২ প্লাটুন)। আর প্রধান বিচারপতির বাসভবনে নিরাপত্তার জন্য আগে থেকেই ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন রয়েছে, সচিবালয়ে আছে ২ প্লাটুন। সব মিলিয়ে ১১ প্লাটুন বিজিবি রাজধানীতে মোতায়েন আছে। ১২ প্লাটুন বিজিবি সদস্যকে স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে তারা রাস্তায় নামবে।

এর আগে কাকরাইলে বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সে সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাস এবং সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। আর বিএনপি কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। পরে ওই এলাকায় বিজিবি সদস্যরা টহল দেয়া শুরু করেছে। বেশ কয়েকটি গাড়ি নিয়ে বিজিবি সদস্যদের সেখানে অবস্থান নিতে দেখা গেছে।

এই সমাবেশ থেকে রোববার সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ঘোষণা দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপির পর একই দিন সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেয় জামায়াতে ইসলামী। সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেন। তিনি জানান, নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে এ হরতাল ডাকা হয়েছে।

শনিবার পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী মহাসমাবেশ করছে বিএনপি। নির্ধারিত সময়ের সোয়া এক ঘণ্টা আগে নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ মহাসমাবেশ শুরু হয়। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির যৌথ উদ্যোগে এই মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ আমির নুরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে দুপুর ২টায় রাজধানীর মতিঝিলের আরামবাগ মোড়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে আয়োজিত হয় জামায়াতের মহাসমাবেশ।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের সভাপতিত্বে এবং উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব লিটন মাহমুদের যৌথ সঞ্চালনায় মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *