রাজধানীর কাকরাইল এলাকায় গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ এবং পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করে ককটেল ছোড়ার অভিযোগে দুই শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য নিয়ে গেছে পুলিশ। ওই এলাকায় কী কারণে অবস্থান করছিলেন এসব বিষয়ে নিশ্চিতের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে এবং তারপর গ্রেফতার দেখানো হবে।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ ঘটনাস্থলে থাকা গণমাধ্যমকর্মীদের এসব তথ্য জানান।
আটক ব্যক্তিদের বিষয়ে হারুন অর রশিদ বলেন, ‘তারা যদি সমাবেশে আসেন তাহলে সেখানে যাবেন, এই ভবনে (জমজম গ্রুপের একটি বিল্ডিং) কেন অবস্থান নেবেন। তারা এখানে চাল-ডাল নিয়ে এসে রান্না করছেন। এ ছাড়া এখান থেকে প্রচুর রড, বাঁশ, ইট পাওয়া গেছে। সেগুলোও জব্দ করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘মহাসমাবেশগুলোকে কেন্দ্র করে আমরা তল্লাশি করি। কারণ, মহাসমাবেশগুলোতে কোনও দুষ্কৃতকারী যেন কোনও ধরনের অঘটন ঘটাতে না পারে, কোনও ঝুঁকি সৃষ্টি করতে না পারে, কোনও আতঙ্ক সৃষ্টি করতে না পারে। আমরা যখন এদিকে নয়াপল্টন এলাকায় আসলাম তখন আমাদের উদ্দেশ্য করে ১০ থেকে ১৫টি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশ এখানে এসেছে। জনৈক মোবাশ্বের চৌধুরীর বিল্ডিং জমজম গ্রুপের ভবনের সামনে এ ঘটনাটি ঘটে। ভবনের ভেতরে দেখলাম বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পরিত্যক্ত দুটি গাড়ি পড়ে রয়েছে, ছবি রয়েছে। এ ছাড়া ভেতরে গিয়ে দেখলাম অসংখ্য লাঠিসোঁটা ও রড রয়েছে। শুধু এগুলো নয়, তারা এখানে রান্না করে খাচ্ছে, চাল-ডাল, রান্না করা খাবার এবং ককটেলও পেয়েছি।
‘এগুলো এখানে রাখার উদ্দেশ্য কি নাশকতা না অন্য কোনও বিষয়? কী কারণে এগুলো আনা হয়েছে তা আমরা জানি না কিন্তু তা তদন্ত করে বাকিটা বলতে পারবো। আটককৃতদের মধ্যে কেউ পদধারী বা কোন দল সংশ্লিষ্ট সেসব বিষয় থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যাবে।’
পুলিশের উদ্দেশ্যে ছোড়া ককটেলে দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তারা রাজারবাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন জানিয়ে হারুন অর রশিদ আরও বলেন, ‘আমরা বেশ কিছু ককটেল পেয়েছি। এ ছাড়া আমরা আরও খবর পেয়েছি, ঢাকায় আরও আট-দশটার মতো ভবন রয়েছে, যেখানে অনেকেই অবস্থান নিয়েছেন। নাশকতার আশঙ্কার বিষয়টি আমরা তদন্ত করবো এবং সেসব ভবনগুলোতেও আমরা রেইড দেবো।’