বিএনপির কাছে তথ্য জানতে চেয়ে পুলিশের দেয়া চিঠির জবাব দিয়েছে দলটি।
আজ বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী এ কথা বলেন।
এসময় ভেন্যুর বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, নয়াপল্টনেই মহাসমাবেশ হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।
তবে চিঠির প্রশ্নে কী কী জবাব দিয়েছে বিএনপি এ বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি বিএনপির এই মুখপাত্র।
একটি সূত্র জানায়, ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলের উদ্যোগে অনুষ্ঠিতব্য সমাবেশ সম্পর্কিত সাতটি তথ্যের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। পত্রে উল্লেখিত ক্রমানুসারে সাতটি তথ্যের জবাব নিচে দেয়া হয়েছে-
১) সমাবেশ বেলা ২টায় শুরু হবে এবং মাগরিবের আযানের পূর্বে শেষ হবে।
২) সমাবেশে এক লাখ থেকে সোয়া লাখ লোক হতে পারে।
৩) সমাবেশটি পশ্চিমে বিজয়নগর মোড় ও পূর্বে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে।
৪) সমাবেশে পশ্চিমে বিজয়নগর মোড় এবং পূর্বে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত কিছুদুর অন্তর অন্তর মাইক লাগানো হবে।
৫) ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশে বিএনপির নেতৃবৃন্দ ব্যতিরেকে অন্যকোনো রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করবেন না।
৬) সমাবেশের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য দলের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ দায়িত্ব পালন করবেন, যার সংখ্যা হবে পাঁচ শ’ জন।
৭) ২৮ অক্টোবরের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ নয়াপল্টনস্থ বিএনপির প্রধান কার্যালয়ের সামনেই আয়োজনের সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। অন্য কোনো ভেন্যুতে যাওয়া সম্ভব হবে না।
এর আগে বিএনপিকে দেয়া চিঠিতে পুলিশ জানতে চেয়েছে –
১) সমাবেশে লোকসমাগম কখন শুরু হবে এবং সমাবেশ কখন শেষ হবে?
২) সমাবেশে কি পরিমাণ লোক সমাগম হবে?
৩) সমাবেশটি নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে হতে ঠিক কোন কোন স্থান পর্যন্ত বিস্তৃত হবে?
৪। সমাবেশে বক্তব্য প্রচারের জন্য কোন কোন স্থানে মাইক স্থাপন করা হবে?
৫) সমাবেশে অন্য কোন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহণ করবেন কি না?
৬) সমাবেশে অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হবে কি না? হলে, তার সংখ্যা কত?
৭) জননিরাপত্তাজনিত কারণে নয়াপল্টনে অনুমতি দেয়া সম্ভব না হলে বিকল্প দু’টি ভেন্যুর নাম প্রস্তাব করুন।