কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে ফায়ার সার্ভিসের তদন্তদল। এ ঘটনায় ট্রেনটির চালকসহ তিনজনের নামে মামলা হয়েছে।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় ঘটনাস্থল তারা পরিদর্শন করে।
ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতের ভাই বিল্লাল হোসেন বুধবার সকালে ভৈরব রেলওয়ে থানায় মালবাহী ট্রেনটির চালক জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী চালক আতিকুর রহমান ও পরিচালক (গার্ড) মো: আলমগীরকে আসামি করে মামলাটি করেন।
মামলার বাদি বিল্লাল হোসেন ভৈরব শহরের আমলাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তার গ্রামের বাড়ি বেলাব উপজেলার সল্লাবাদ।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ট্রেন পরিচালনার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের গাফিলতি আর তাচ্ছিল্য ছিল বলেই ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা ঘটে। তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে দুর্ঘটনা ঘটত না। এত মানুষের ক্ষতিও হতো না। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে ভৈরব রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলীম হোসেন শিকদার। তিনি বলেন, মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে।
তদন্ত কমিটি ও কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা যায়, ডিজিটাল সিগ্নাল সিস্টেম থাকায় একটি ট্রেনের সিগ্নাল দেয়া হলে পরবর্তীতে লাইন ক্লিয়ার না হওয়া পর্যন্ত সফটওয়ারের মাধ্যমে অন্য কোনো লইনে সিগনাল দেয়া যায় না। সব লাইনে লাল বাতি জ্বলে থাকবে। কিন্তু ঘটনার দিন কন্টেইনারবাহী ট্রেনটি সিগনাল মানেননি। যার ফলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ জন্য কন্টেইনারবাহী ট্রেনের তিনজনকে সাময়িক প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত দল ঘটনা স্থল পরিদর্শন করছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা জানান তদন্ত কমিটির সদস্য আবুল কালাম।
এ ঘটনায় ১৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া মঙ্গলবার রাতে জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পথে নজরুল ইসলাম নামের এক ব্যাক্তির মৃত্যু হয়। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাড়াল ১৮ জনে।
এ বিষয়ে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার ইউসুফ বলেন, ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয়ে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন। কিন্তু আজ বুধবার সকাল থেকে সঠিক সময়ে ট্রেন চলাচল করছে বলে জানান তিনি।