টঙ্গী(গাজীপুর) প্রতিনিধি: ঢাকা-টঙ্গী-চট্রগ্রাম রেলরুটের ঘোড়াশাল-আঁড়িখোলার মাঝামাঝি স্থানে মালবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন লাইচ্যুত হওয়ায় আট ঘন্টা পর বন্ধ লাইন চালু হয়েছে। দূর্ঘটনা কবলিত ইঞ্জিনও উদ্ধার হয়েছে। এতে টঙ্গী, পূবাইল, নরসিংদী সহ বেশ কিছু স্টেশনে আটকা পড়ে অসংখ্য যাত্রী।
রবিবার(২২ অক্টেবার) সকাল ১১টায় এই দূর্ঘটনা ঘটার পর থেকে একটি লাইন বন্ধ হয়। সন্ধ্যা ৭টায় টঙ্গী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ(এসআই) ছোট শর্মা সংবাদটি নিশ্চিত করে বলেন ঢাকা থেকে আসা উদ্ধারকারী ট্রেন উদ্ধার কাজ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আড়িখোলা-ঘোড়াশাল স্টেশনের মাঝামাঝি স্থানে একটি মালবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়ে যায়। এতে ঢাকা-চট্রগ্রাম রেলরুটের একটি লাইন বন্ধ হয়।
এদিকে ঢাকা-চট্রগ্রাম রুটের একটি লাইন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এক লাইন দিয়ে দুই লাইনের ট্রেন চলাচল শুরু হয়। এতে ঢাকাগামী ৩৫ তিতাস কমিউটার নরসিংদীতে, নোয়াখালীগামী ৭১২ উপকূল এক্সপ্রেস টঙ্গীতে, চট্রগ্রামগামী ৭০২ সুবর্ণা এক্সপ্রেস টঙ্গীতে, ঢাকাগামী ৭১৮ জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস খানাবাড়ি ও সিলেটগামী কালনী এক্সপ্রেস পূবাইল স্টেশনে আটকা পড়ে। ফলে অনাকাংখিত বিড়ম্বনায় আটকা পড়ে এই সকল ট্রেনের যাত্রী।
পূবাইল স্টেশনের লাইনম্যান সাইফুল ইসলাম রাত পৌনে আটটায় বলেন, ইঞ্জিন উদ্ধার শেষ হয়েছে। একটু আগে লাইন রেললাইন ঠিক হয়েছে। এখন শান্টিং চলছে। ফলে দুই লাইন দিয়েই ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।