ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলো যদি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞার মতো আরো চাপ ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, তাহলে ভারত ও চীনের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরতা বাড়বে।
ক্রাইসিস গ্রুপের ‘অন দ্য হরাইজন’ রিপোর্টের অক্টোবর, ২০২৩-মার্চ, ২০২৪ সংস্করণ অনুসারে, ‘এটি ভারত ও চীনের ওপর সরকারের নির্ভরতা বাড়ানোর কারণ হতে পারে। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (এবং সম্ভাব্য অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলো) সম্ভবত শীর্ষ কর্মকর্তাদের ওপর ভিসানীতির মতো আরো নিষেধাজ্ঞা দেবে।’
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ হলো- একটি স্বাধীন সংস্থা, যা যুদ্ধ প্রতিরোধ এবং আরো শান্তিপূর্ণ বিশ্বের লক্ষ্যে নীতি প্রণয়ণ প্রভৃতি নিয়ে কাজ করে।
বিএনপি ২৮ অক্টোবর সরকার পতনের আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে এবং ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ বলছে, ওই দিনই বিএনপির পতন শুরু হবে। এখন পর্যন্ত দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের মতে, একটি বিতর্কিত নির্বাচনের ফলে সরকারবিরোধী তীব্র বিক্ষোভ শুরু হতে পারে।
রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, নির্বাচন-সম্পর্কিত কার্যক্রম যেমন প্রচার ও ভোটদান প্রভৃতির ফলে সহিংস হামলা ছড়িয়ে পড়তে পারে; ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অশান্ত রাজ্যগুলো থেকেও সহিংসতার উস্কানি ছড়িয়ে পড়তে পারে।
ক্রাইসিস গ্রুপের উল্লিখিত হিসাবে আগামী সপ্তাহ ও মাসগুলোতে কী দেখতে হবে-
১. ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে একটি ঝুঁকিপূর্ণ এবং সম্ভাব্য সহিংস নির্বাচন।
২. ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ পদত্যাগ করার এবং নির্বাচনের ক্ষমতা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে হস্তান্তরের আহ্বান উপেক্ষা করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
৩. প্রতিদ্বন্দ্বী সমর্থকরা প্রকাশ্যে সংঘর্ষ বা দলীয় অফিস বা প্রার্থীদের ওপর হামলা করতে পারে।
৪. ইসলামপন্থী দলগুলো সরকারের বিরোধিতায় আরো সক্রিয় হতে পারে।
৫. একটি বিতর্কিত ভোটের সম্ভাবনার মুখোমুখি সময়ে বিরোধীরা সম্ভবত নির্বাচন বয়কট করবে এবং আরো সহিংস কৌশল অবলম্বন করে মৌলবাদী হয়ে উঠতে পারে।
৬. আশার অভাব, নিরাপত্তাহীনতা ও দারিদ্র্য একটি দুষ্টচক্র তৈরির হুমকি দেয়। যেখানে মরিয়া রোহিঙ্গারা; বিশেষ করে যুবকরা অপরাধী দল এবং সশস্ত্র গোষ্ঠীতে যোগ দিতে পারে। যা সহিংসতাকে আরো উসকে দিতে পারে। সূত্র : ইউএনবি