বর্তমান সরকারের পতন হয়ে এই বছরেরই ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন সূর্য উঠবে বাংলাদেশে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। শাপলা চত্বর নিয়ে মন্তব্যের জেরে ওবায়দুল কাদেরকে এখনই গ্রেফতার করা উচিত বলেও মনে করেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদের হলরুমে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের উদ্যোগে ৯০’র ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম রূপকার মরহুম সাইফুদ্দিন আহমেদ মনির স্মরণ এবং ৯০ থেকে বর্তমান প্রেক্ষাপট শীর্ষক’ আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
দুদু বলেন, ‘বিরোধী দলের আন্দোলনে সরকারের পাগলপ্রায় অবস্থা। প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের বক্তৃতা শুনলেই বুঝতে পারবেন তার মাথার অবস্থা কী! তার সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের অবস্থা কী! তিনি (ওবায়দুল কাদের) গতকাল যে কথা বলেছেন- শাপলা চত্বরের চেয়ে ভয়ংকর পরিস্থিতি হবে বিরোধী দলের, এই কথা থেকে জানতে কী বাকি আছে তারা কী ধরনের, কী চরিত্রের? ওবায়দুল কাদেরের এই কথার কারণে তাকে এখনই গ্রেফতার করা উচিত।’
তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচার এরশাদের পতন কিভাবে হয়েছে দেশের জনগণ দেখেছে, তারাও (আওয়ামী লীগ) দেখেছে। এই দেশে স্বৈরাচারের কোনো স্থান নেই। এই অক্টোবর মাস এখনো শেষ হয়নি; মাঝামাঝি। দেশের জনগণ মনে করে এই মাসের মধ্যে এই স্বৈরাচার সরকারকে পদত্যাগ করাতে আমরা সক্ষম হব। পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়া হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে।’
নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন কী বলে? কে নির্বাচনে এলো বা না এলো তা দেখার বিষয় নয়। মগের মুল্লুক পাইছেন? আমাদের টাকায় জনগণের টাকায় চলাফেরা করেন গাড়িতে উঠেন, বাসা ভাড়া দেন, আর কে এলো আর না এলো মানে?’
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, “সব কিছুরই একটা শেষ আছে। এই সরকারেরও শেষ আছে। এই বছরের অক্টোবর, নভেম্বর বা ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন সূর্য উঠবে বাংলাদেশে। নতুন পরিবর্তনের দিকে দেশ ধাবমান হচ্ছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ যারা জেলখানায় আছে সবাইকে বাহির করে নিয়ে আসা হবে। গণতন্ত্রের বাংলাদেশ হবে, ‘স্বাধীন’ বাংলাদেশ হবে।”
মরহুম সাইফুদ্দিন আহমেদ মনিকে স্মরণ করে কৃষক দলের সাবেক এই আহ্বায়ক বলেন, ‘সে যে স্বপ্ন দেখত তা হলো, স্বৈরাচারমুক্ত গণতান্ত্রিক মানবাধিকারের বাংলাদেশ। সেই স্বপ্নটা ছাত্রজীবন থেকে সে লালন করত। সে গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব যেমন দিয়েছিল তেমনি বর্তমান স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধেও নেতৃত্ব দিয়েছে। আমরা যদি তাকে শ্রদ্ধা জানাতে চাই তাহলে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে। এই স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশ যদি করতে পারি তাহলে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে।’
স্মরণ সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু, ডাকসুর সাবেক এজিএস নাজিমুদ্দিন আলম, কৃষক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।