বাংলাদেশ এখন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছেড়ে দেয়ার শর্ত হিসেবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের প্রয়োজনীয়তা ২০ বিলিয়ন ডলারে নামিয়ে আনতে অনুরোধ করেছে।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পরিদর্শনকারী আইএমএফ প্রতিনিধিদলের কাছে অনুরোধটি করা হয়েছিল, যারা কর্মকর্তাদের সাথে তাদের শর্ত পূরণের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেছিল।
অপ্রয়োজনীয় ও বিলাসবহুল পণ্য আমদানি কমানোসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া সত্ত্বেও, গত তিন মাসে মোট রিজার্ভ ২ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার হ্রাস পেয়েছে।
বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের দুটি প্রধান উৎস অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স প্রবাহ সেপ্টেম্বরে রেকর্ড ১ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলার হ্রাস পেয়েছে এবং রফতানি আয় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে।
পরিস্থিতি বিবেচনা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে আইএমএফ মিশনের কাছে রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারে নামিয়ে আনার প্রস্তাব করেছে।
আইএমএফ–এর ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের শর্ত অনুযায়ী, প্রকৃত রিজার্ভ গত জুনে ২৪ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার এবং সেপ্টেম্বরে ২৫ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার বজায় রাখার কথা ছিল। ডিসেম্বরের শেষে বাংলাদেশকে কমপক্ষে ২৬ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার নেট রিজার্ভ বজায় রাখতে হবে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেনের হিসাব অনুযায়ী নেট ফরেক্স রিজার্ভ এখন ১৮ বিলিয়ন ডলারের কম।
তবে আইএমএফ আরো পরামর্শ দিয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিযোগিতামূলক বাজার মূল্যের ওপর মার্কিন ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণ করবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক এর আগে মার্কিন ডলারের বিনিময় হার ধীরে ধীরে শিথিল করেছিল এবং এখন অফিসিয়াল এক্সচেঞ্জ রেট প্রতি ডলার ১১২ টাকা।
অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, বাংলাদেশকে বাণিজ্যভিত্তিক অর্থপাচারের ওপর কঠোর নজরদারি বজায় রাখতে হবে এবং অপ্রয়োজনীয় আমদানি কমাতে হবে।
সূত্র : ইউএনবি