এক দফা দাবি আদায়ে চট্টগ্রামে সবশেষ রোডমার্চ থেকে প্রতিরোধের ডাক দিয়েছে বিএনপি। একইসাথে ১৮ অক্টোবর ঢাকায় জনসমাবেশসহ ৫ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি। নেতারা বলেছেন, তারা এখনো নিয়মতান্ত্রিকভাবে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। দাবি না মেনে নিলে প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন। আঘাতে প্রত্যাঘাত করা হবে, প্রতিরোধ করা হবে।
বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রামের সমাবেশ থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কর্মসূচি ঘোষণা করে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের আন্দোলনের জন্য সাহস নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে বলেন। তিনি বলেন, দুর্গাপূজার আগে কঠোর কর্মসূচি দিচ্ছি না। সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় না হলে জনতা ক্ষমতা দখল করবে। ঢাকার সমাবেশ থেকে পরবর্তী সময়ের কর্মসূচি দেয়া হবে। সেই কর্মসূচি যেন শেষ কর্মসূচি হয়।
এর আগে কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত প্রায় ১৫০কিলোমিটার সড়কে ব্যাপক শোডাউন করে বিএনপি নেতাকর্মীরা। কয়েকটি পথসভা শেষে ১০ ঘণ্টা পর রোডমার্চের বহর পৌঁছে বুধবার রাত ৯টার দিকে। শুরুতে কুমিল্লায় কয়েক দফায় বৃষ্টি পড়লেও রোডমার্চের ছন্দপতন হয়নি। বৈরি আবহাওয়ার মধ্যেও নেতাকর্মীরা পথসভায় জড়ো হন নির্দিষ্ট সময়ের আগে। সরকারের পদত্যাগের দাবিতে নানা স্লোগান দেন তারা। বিশেষ করে নিজের সংসদীয় এলাকার মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতাদের ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড ছাড়াও কোথাও কোথাও তোরণও চোখে পড়েছে।
দলীয় ও জাতীয় পতকা হাতে কয়েক শ’ গাড়ি যোগে ছুটে চলে রোডমার্চ। নেতাকর্মীরা পিকআপ, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, মিনি ট্রাক, মোটরসাইকেলে শোডাউন দেন। পথে পথে স্থানীয় নেতাকর্মীদের অভিবাদনের জবাব দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল। সাথে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
সমাবেশ ও পথসভায় ফখরুল বলেন, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়। এই সিদ্ধান্তে আমাদের অটল থাকতে হবে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে যাচ্ছি। এখনো সময় আছে; দাবি মেনে নিন।
সরকারকে দ্রুত পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, তালবাহানা করে জনরোষ থেকে ক্ষমতাসীনরা পার পাবে না।
বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, সরকার বিদেশ থেকে ধ্বংসাত্মক ইউরেনিয়াম নিয়ে এসেছে। এগুলো ভোট চুরির প্রকল্পের অংশ।
ফখরুল বলেন, আমেরিকা থেকে সরকার খালি হাতে ফিরেছে। বহু চেষ্টা করেও নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পারেনি তারা। আবারো বিনা ভোটের ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে। মিথ্যা মামলার সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। নিজেরা গোলমাল করে বিএনপির ওপর দোষ চাপাবে। রাজপথ দখল করে এসবের ফয়সালা করতে হবে। এরপর থেকে সব আন্দোলন ঢাকায়। সেখানেই সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
আর আমীর খসরু বলেন, অনেক প্রতিবাদ হয়েছে। বাধা আসলে জনগণকে সাথে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
তিনি বলেন, এই সরকারকে বিশ্ব সম্প্রদায় নজরে রেখেছে। তারা সুষ্ঠু নির্বাচন চায়।