দলীয় প্রার্থী বিজয়ী হওয়ায় কারাগারের পরিবর্তে গৃহবন্দী সাবেক প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন

Slider সারাবিশ্ব

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মোহামেদ মুইজু জয়ী হওয়ার পর নির্বাচনী প্রচারণার সময় দেয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করে কারাগারে বন্দী মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিনকে রোববার গৃহবন্দী হিসেবে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

ইয়ামিন ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ঘুষ ও অর্থ পাচারের দায়ে কারাভোগ করছেন। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজুর অনুরোধে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ তাকে বদলির আদেশ দিয়েছেন।

আগামী ১৭ নভেম্বর শপথ নেবেন মুইজু।

দেশটির নির্বাচন কমিশন শনিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলাফল রোববার (১ অক্টোবর) প্রকাশ করেছে। এতে মুইজু পেয়েছেন ৫৪ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ ভোট এবং সোলিহ পেয়েছেন ৪৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ ভোট। এর আগে সেপ্টেম্বরের শুরুতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের প্রথম রাউন্ডে আটজন প্রার্থীর কেউই ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পাননি।

নির্বাচনটিকে একটি ভার্চুয়াল গণভোট বলে মনে করা হয়েছিল। একটি গুরুত্বপূর্ণ পূর্ব-পশ্চিম শিপিং রুট বরাবর কৌশলগতভাবে অবস্থিত ভারত মহাসাগরের দ্বীপপুঞ্জ দেশ হিসেবে এর ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলবে আঞ্চলিক শক্তি চীন বা ভারত।

চীনপন্থী হিসেবে পরিচিত মুইজু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে তিনি মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সৈন্য সরিয়ে নেবেন এবং দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রাখবেন।

মালদ্বীপের অনেক নাগরিককে আশ্রয় দেয়া ভারত মনে করে যে দেশটি তার প্রভাবের অঞ্চলে অবস্থিত। ইয়ামিন প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন মালদ্বীপকে বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের অংশ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করেছে চীন। এশিয়া, আফ্রিকা এবং ইউরোপ জুড়ে বাণিজ্য এবং চীনের প্রভাব সম্প্রসারণের জন্য রেলপথ, বন্দর এবং মহাসড়ক নির্মাণের উদ্দেশ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে চীন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মুইজ্জুকে নির্বাচনে জয়লাভ করায় তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

এক্সে (সাবেক টুইটার) তিনি বলেন, ‘ভারত-মালদ্বীপ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে এবং ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আমাদের সামগ্রিক সহযোগিতা বাড়াতে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

যুক্তরাষ্ট্রও মুইজুকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছে, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও অভিন্ন স্বার্থের ভিত্তিতে দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ক রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *