গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরো ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের নয় মাসে ডেঙ্গুতে মৃত্যু এক হাজার ছাড়িয়েছে। এ পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ছয়জনের। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই হাজার ৮৮২ জন।
রোববার (১ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদফরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফর জানায়, শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ৮৮২ জন। এদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৬২৯ জন ও ঢাকার বাইরের ২ হাজার ২৫৩ জন। ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৭ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা নয়জন ও ঢাকার বাইরের আটজন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ছয় হাজার ২৮৮ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৮৩ হাজার ৮৫১ জন। ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন ১ লাখ ২২ হাজার ৪৩৭ জন।
একই সময়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১ লাখ ৯৫ হাজার ৯২৫ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৮০ হাজার ৮৩ জন এবং ঢাকার বাইরের ১ লাখ ১৫ হাজার ৮৪২ জন।
বর্তমানে সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৯ হাজার ৩৫৭ জন ডেঙ্গুরোগী। তাদের মধ্যে ঢাকায় ৩ হাজার ১২০ জন এবং ঢাকার বাইরে ৬ হাজার ২৩৭ জন।
এর আগে ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ডেঙ্গুতে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সাথে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
স্বাস্থ্য অধিদফতর ও আইইডিসিআরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর সরকারি পরিসংখ্যান গত ২৪ বছরের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
গত ২০ সেপ্টেম্বর ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ২১ জন মারা গেছেন, যা একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক মৃত্যু। এর আগেও গত ২ সেপ্টেম্বর ডেঙ্গুতে একদিনে সর্বোচ্চ ২১ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর।