সরকারের পদত্যাগ ও সংসদ বিলুপ্ত, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া’র নিঃশর্ত মুক্তিসহ একদফা দাবি আদায়ে রোডমার্চটি শুরু হয়েছে।
রোববার ময়মনসিংহ ত্রিশাল বগার বাজার সাড়ে ১০টা থেকে রোডমার্চ শুরু হয়। এটি কিশোরগঞ্জে লতিফাবাদ চক্ষু হাসপাতাল সংলগ্ন ময়দানে এসে শেষ হবে। এ যাত্রা প্রায় ১১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ পথ।
বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রোর্ডমার্চটি চলাকালে চুরখাই বাজার ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা, সম্ভুগঞ্জ চায়না মোড় ময়মনসিংহ মহানগর, ঈশ্বরগঞ্জ, ময়মনসিংহ উত্তর এবং এছাড়াও অ-আনুষ্ঠানিক পথসভা করবে।
ময়মনসিংহ বিভাগীয় রোডমার্চে নেতৃত্ব আছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এবং আব্দুল মঈন খান।
এরআগে সকাল থেকেই বিএনপির নেতাকর্মীরা রোডমার্চে অংশ নিতে ময়মনসিংহ ত্রিশাল বগার বাজার এলাকায় আসতে থাকেন। এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবি জানানো হয়। বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল নেতৃত্বে জামালপুর থেকে ট্রাক, মিনি পিকআপ, মোটরসাইকেলে করে বিশাল বহর অংশ নিয়েছে বিএনপির গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের রোডমার্চে।
এছাড়া বিএনপির লাগাতার কর্মসূচির পরবর্তী কর্মসূচিগুলো হলো- ২ অক্টোবর ঢাকায় কৃষক সমাবেশ। ৩ অক্টোবর ফরিদপুর বিভাগে রোডমার্চ ও সমাবেশ। ৪ অক্টোবর ঢাকায় পেশাজীবী কনভেনশন। ৫ অক্টোবর কুমিল্লা, ফেনী, মিরেসরাই হয়ে চট্টগ্রামে রোডমার্চ।
প্রয়োজনে আরো কিছু কর্মসূচি যোগ হতে পারে বলে জানিয়েছে বিএনপি।