বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে করা আবেদনের বিষয়ে আগামীকাল রোববার মতামত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
আজ শনিবার সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এই আবেদন করা হয়। আইনি মতামতের জন্য সেই আবেদন আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে তারা।
এদিকে, ভয়েস অব আমেরিকাকে এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি নিতে হলে আবার খালেদা জিয়াকে কারাগারে যেতে হবে, জেলে যেতে হবে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ এক মাসের বেশি সময় ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন খালেদা জিয়া। গত ৯ আগস্ট শারীরিক অসুস্থতার কারণে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। এর আগেও অবশ্য সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে বেশ কয়েকবার হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্রে জটিলতা, ফুসফুস, চোখ ও দাঁতের নানা সমস্যায় ভুগছেন। এ ছাড়া তার মেরুদণ্ড, হাত ও হাঁটুতে বাতের সমস্যাসহ আরো কিছু শারীরিক জটিলতা রয়েছে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার সাজা হয়। সেদিন থেকে প্রায় দুই বছর কারাবন্দী ছিলেন তিনি। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ করোনা মহামারীর শুরুতে তার পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার সাজা স্থগিত করে শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দিয়েছিল সরকার। এরপর থেকে তার মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস করে বাড়ানো হচ্ছে।
সবশেষ ১২ সেপ্টেম্বর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আরো ছয় মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।