সামনে আরো তৃনমুল আসছে– টঙ্গীতে ওবায়দুল কাদের

Slider ফুলজান বিবির বাংলা


টঙ্গী: আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, খেলা হবে, ডিসেম্বরে। খেলা হবে অক্টোবরে। খেলা হবে জানুয়ারীর প্রথম সপ্তাহে। এক তৃনমুল হয়েছে, সামনে আরো তৃনমুল আসছে।
গতকাল বুধবার বিকেল ৫টায় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রিয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে টঙ্গী সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত আওয়ামীলীগের শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষনে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা দখল কে করবে সময় বলবে। তিনি বলেন, ফখরুল ইদানিং কান্নাকাটি করছেন। এত কান্না কোথা থেকে আসে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৪৮ মিনিটও খালেদা জিয়ার জন্য আন্দোলন করতে পারলেন না।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ম্যাজিক দেখাইবেন। উন্নয়নের, মুক্তিযুদ্ধের, জাতীয় পতাকার, স্বাধীনতার ম্যাজিক। খেলা হবে দুর্নীতি বিরুদ্ধে, ভোট চুরের বিরুদ্ধে , লুটপাটের বিরুদ্ধে, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে, বিএনপি ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে।

বিএনপির উদ্দেশ্য তিনি বলেন, তাদের ঘরের মধ্যে ঘর, মশারীর মধ্যে মশারি। ভোটের আন্দোলন, এক দফা, দশ দফা, সাতাইশ দফা, একত্রিশ দফা, সবই ভুয়া।

কাদের বলেন, শেখ হাসিনা গণতন্ত্র রক্ষা করেন। বিএনপি ধ্বংস করে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বাঁচাতে হলে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। গাজীপুর আর দুর্বল হবেনা। ১০ লেনের ব্রিজ হয়ে গেছে। আজ কি সুন্দর গাজীপুর! দক্ষিণ এশিয়ায় নদীর নিচে আর টানেল নেই। বঙ্গবন্ধু টানেল চলতি মাসের ২৮ তারিখ উদ্বোধন হবে। শেখ হাসিনার অবদান, আজ নারীরা সেক্রেটারি, বিচারপতি, এসপি, সেনাবাহিনীর জেনারেল।

ওবায়দুল কাদের বিরোধী দলের উদ্দেশ্যে বলেন, শেখ হাসিনার নাকি মেয়াদ শেষ। তাহলে বিএনপির কি হবে? ১৫ টা অক্টোবর দেখেছি। আবারো অক্টোবর আসবে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসবে। নানা রকম জগাখিচুরি ঐক্য দিয়ে শেখ হাসিনাকে হটানো যাবেনা। ৩৬ দিনের আল্টিমেটাম। বিএনপিকে দাঁড়াতে দিবনা।

আমেরিকাকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, আগে নিজের ঘর সামলান। ট্রাম্পকে সামলাতে পারেন না আবার আমাদের সামলাবেন কি করে। নিজের ঘরের আগুন নেভানোর আহবান জানান তিনি।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ২০০৪ সালে তারেকের হাওয়া ভবন ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছিল। তিনি বলেন, বিদেশী প্রভুদের দ্বারা তারা ক্ষমতায় আসতে পারবে না।

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি বলেন, আমার বাবাকে যারা হত্যা করেছে, তারা আবার উঠে পড়ে লেগেছে। আমি এক টাকাও অবৈধভাবে নেই না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি কারো জমি দখল করি নাই। কারো থেকে এক টাকা নেই নাই। আমি এই বিচারের ভার আপনাদের কাছে দিলাম। তার বাবা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের স্মৃতিচারণ করে রাসেল বলেন, আমার বাবার রক্ত যতদিন থাকবে ততদিন আমি আপনাদেও সাথে থাকতে চাই।
আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সিমিন হোসেন রিমি এমপি বলেন, আমার ঢাকা থেকে টংগী আসতে মাত্র ১৫ মিনিট লেগেছে। দেশে উনয়ন হয়েছে। প্রতিদিন ১ লাখ মানুষ ১৫ টাকা কেজি চাল পাচ্ছে। ২০০৬ সালে বিএনপি জামাত বাজেট দিয়েছিল ৬১ হাজার কোটি টাকা। এই বছর বাজেট হয়েছে সাত লক্ষ ৬১ হাজার কোটি টাকা। জনগন শান্তি চায় নৈরাজ্য চায় না।
আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক আ ফ ম বাহা উদ্দীন নাসিম নলেন, বাংলাদেশে মির্জা ফখরুল গংরা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে। আমরা তাদের প্রতিহত করবো। বিএনপি-জামাত বিদেশিদের দিয়ে দেশে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করছে। তারা বাংলাদেশকে আফগানিস্থান বানাতে চান। তাদের আমরা মোকাবেলা করবো।

মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। এটা বিএনপি জামাত থামাতে পারবেনা। তারা রাজপথে আসলে আওয়ামীলীগ উপযুক্ত জবাব দিবে।

আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি বলেন, যারা তাজ উদ্দিনকে খুন করেছে, যারা আহসান উল্লাহ মাস্টারকে খুন করেছে, তাদেরকে চান আপনারা? গাজীপুরের মাটি আওয়ামীলীগের ঘাটি।

সমাবেশে সভাপতিত্বে করেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এডভোকেট আজমত উল্লাহ খান। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ মো: আতাউল্লাহ মন্ডল।

সমাবেশে বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, আব্দুর রহমান, সিমিন হোসেন রিমি এমপি গাজীপুর-৪, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল- আলম হানিফ এমপি, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন ও মির্জা আজম এমপি, গাজীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী এডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি, গাজীপুর-১, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আলহাজ¦ মো: জাহিদ আহসান রাসেল এমপি গাজীপুর-২, গাজীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ এমপি, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি বেগম সামসুন নাহার ভুঁইয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *