রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগে যদি একজন সাবেক প্রধান বিচারপতির অধীনে নির্বাচনে না যায় আওয়ামী লীগ, তাহলে এই দলটির সভাপতি শেখ হাসিনার অধীনে বিএনপি কেন নির্বাচনে যাবে এই প্রশ্ন রেখেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গাবতলীতে এক সমাবেশে এই মন্তব্য করেন তিনি। সরকারের পদত্যাগ ও খালেদা জিয়ার বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা এক দফার দাবিতে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
নজরুল ইসলাম বলেন, সেই বিচারপতি ১৯৭৯ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন না। কিন্তু সংবিধান অনুযায়ী তার যখন তত্ত্বাববধাক সরকারের প্রধান হওয়ার কথা, তখন আওয়ামী লীগ বলল তিনি বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। তার অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না। ২৬ বছর ধরে রাজনীতিবিযুক্ত একজন সাবেক প্রধান বিচারপতি অধীনে যদি নির্বাচন নিরপেক্ষ না হয়, তাহলে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যাবে কেন বিএনপি?’
তিনি আরো বলেন, ‘এ জন্যই বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নিবাচনে না যাওয়ার ব্যাপারে অনঢ়। আসলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নিবাচনে গেলে তাদের (সরকার) ভরাডুবি হবে। এ জন্যই তারা সংবিধানের ধোঁয়া তুলছে।’
বাংলাদেশীদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়াকে লজ্জার বলে অভিহিত করেন তিনি বলেন, ভিসা বিধি-নিষেধের কারণে ক্ষমতাসীনরা ভয় পেয়েছে।
বিদেশে নিয়ে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রতিহিংসার কারণেই তাকে বিদেশে পাঠাচ্ছে না সরকার।
ঢাকা মহানগর উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবুল খায়ের ভূঁইয়া ও আতাউর রহমান ঢালী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী প্রমুখ।