বিয়ে বাড়িতে গান-বাজনার ধুম পড়েছিল। বর-কনে বড় হল রুমটায় সবার সাথে ধীরে ধীরে তালে তাল মিলাচ্ছিল। ঠিক তখনি আগুনের কুণ্ডলি হলে প্রবেশ করে! শুরু হয় ছুটোছুটি। যেভাবে পারে বের হচ্ছিল। কিন্তু অনেকেই ভেতরে আটকা পড়ে যায়।
কথাগুলো বলছিলেন ৩৪ বছর বয়সী ইমাদ ইয়োহানা। তিনি বিয়ে বাড়ির ওই হল রুম থেকে বেঁচে ফিরেছেন।
মঙ্গলবার রাতে ইরাকের নিনেভাহ প্রদেশের আল হামদানিয়া জেলায় বিয়ের বাড়িতে আগুন লেগে কমপক্ষে ১১৩ জনের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছে দেড় শতাধিক।
ইরাকের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইফ আল-বদর বলেন, আহতদের বেশিরভাগই দগ্ধ এবং শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। এছাড়া হুড়োহুড়ি করে বের হতে গিয়ে অনেকে পিষ্ট হয়েছে।
এদিকে আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে সঠিক কিছু জানা না গেলেও বিয়েত উপস্থিত এক অতিথির ভাষ্য অনুযায়ী, আতশবাজি থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুনে তিনিও আহত হয়েছেন। তার হাত পুড়ে গেছে।
রানিয়া ওয়াদ সেই মর্মান্তিক ঘটনা বর্ণনা করছিলেন। বলছিলেন, বর এবং কনে যখন নাচছিল, তখন আতশবাজি ফুটছিল! সেগুলো উপরের দিকে হলের ছাদে উঠে যাচ্ছিল। এক পর্যায়ে সেখান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়, পুরো হলটিতে ছড়িয়ে পড়ে।
১৭ বছর বয়সী এই যুবক এএফপিকে আরো বলেন, ‘আমরা কিছুই দেখতে পাচ্ছিলাম না। আমার দম বন্ধ হয়ে আসছিল। বুঝতে পারছিলাম না কিভাবে বের হবো।’
আল-জাজিরার মাহমুদ আবদেল ওয়াহেদ বাগদাদ থেকে জানান, আতশবাজি ইরাকের বিবাহের উদযাপনের একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য। এবং যে সময় আগুন ছড়িয়ে পড়ে সে সময় বিয়ে বাড়িতে প্রায় এক হাজার অতিথি উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।
এদিকে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, বাগদাদ এবং অন্যান্য প্রদেশ থেকে নিনেভাহতে চিকিৎসা সহায়তার জন্য ট্রাক পাঠানো হয়েছে।
সূত্র : আল-জাজিরা ও রয়টার্স