‘কঠোর কর্মসূচি আসছে’- আন্দোলনের এমন বার্তা দিয়ে বিএনপির রোডমার্চ এখন খুলনামুখী। সরকারের পদত্যাগ সহ একদফা দাবি আদায়ে দলটির এই রোডমার্চ। এটি লাগাতার কর্মসূচির সপ্তম দিন।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১২টায় দক্ষিণের জেলা ঝিনাইদহ শহর থেকে সমাবেশের মাধ্যমে রোড মার্চ শুরু হয়। ১৬০ কিলোমিটারের পথ পাড়ি দিয়ে যা শেষ হবে খুলনার শিববাড়ি মোড়ে। এই দীর্ঘ পথে হবে ৬-৭টি পথসভা।
বিএনপির এটি পঞ্চম রোড মার্চ। এর আগে রংপুর, রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে রোড মার্চ অনুষ্ঠিত হয়।
সড়কজুড়ে বিপুলসংখ্যক স্থানীয় নেতাকর্মী রোডমার্চে স্বাগত জানাচ্ছে। উৎসুক সাধারণ মানুষও এ সময় রাস্তায় দু’ধারে দাঁড়িয়ে আছেন। রঙবেরঙের টি শার্ট ও ক্যাপ পরে নেতাকর্মীরা শতাধিক পিকাপ, মিনি ট্রাক, মাইক্রোবাস, মিনিবাস ও মোটরসাইকেল যোগে রোডমার্চে অংশ নেন। পথে পথে নানা স্লোগান দিচ্ছেন তারা। রোডমার্চ বহরে শোভা পাচ্ছে নানা প্ল্যাকার্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন।
রোডমার্চের অতিথি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস খোলা গাড়িতে চেপে নেতাকর্মীদের অভিবাদন জানান। রোডমার্চের মাঝপথে যোগ দেবেন স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
এর আগে জাতীয় ও দলীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে ঝিনাইদহের বাস টার্মিনালে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিএনপির নেতারা সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন। সেইসাথে সরকারের অনড় অবস্থান থেকে সরে আসার আহ্বান জানান। বিএনপির অসুস্থ চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দ্রুত উন্নত চিকিৎসায় বিদেশ পাঠানোর দাবি জানান। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মীদের রাজপথে থাকার অঙ্গীকার করান নেতারা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, রোডমার্চ ঘিরে মানুষ বিজয়ের আনন্দ অনুভব করছে। অন্যদিকে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেলিত। আমরা নেত্রীর জন্য তেমন কিছু করতে পারিনি। সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করে খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে।
তিনি বলেন, জনগণের এতো টাকা গেল কোথায়? দেশকে দেউলিয়া বানিয়ে ফেলেছে সরকার। তারা দেশকে হীরক রাজার দেশে পরিণত করেছে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি ভাইস-চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য সৈয়দ মেহেদী হাসান রুমী, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল ও বিএনপি সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ড প্রমুখ।
এতে সভাপতিত্ব করেন ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মজিদ ও সঞ্চালনা করেন ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা।