‘সংঘাতপ্রবণ’ শীর্ষ ৫০ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ

Slider সারাবিশ্ব


সংঘাত, সহিংসতা, চরমপন্থার দিক থেকে এগিয়ে থাকা বিশ্বের ৫০ দেশের তালিকায় স্থান উঠে এসেছে বাংলাদেশের নাম। তালিকায় ২২ তম অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। সংঘাতের মাত্রার দিক থেকে ‘অতি উচ্চ’, ‘উচ্চ’, ’অশান্ত’ ও ‘নিম্ন’ এই চারটি ভাগে দেশগুলোর অবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে, যেখানে বাংলাদেশকে দেখানো হয়েছে ‘উচ্চ’ সংঘাতপূর্ণ দেশ হিসেবে। গত ১২ মাসের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের অবস্থা আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়েছে।

তালিকার ১ নম্বরে মিয়ানমার এবং ৫০ নম্বরে আছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের নামও এই তালিকায় আছে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থা আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডেটা প্রজেক্ট বা এসিএলইডি এই তালিকা তৈরি করেছে। বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক সহিংসতার তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রতিবছর এই তালিকা প্রকাশ করে তারা। এবারের তালিকাটি তৈরি করা হয়েছে ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জুলাই পর্যন্ত সময়ে ২৪০টি দেশ ও অঞ্চলের তথ্যের ভিত্তিতে।

সহিংসতায় নিহতের ঘটনা, বেসামরিক নাগরিকদের ঝুঁকি, সহিংসতাপ্রবণ এলাকার বিস্তার এবং সশস্ত্র গোষ্ঠীর তৎপরতা– এই চারটি মানদণ্ডের ভিত্তিতে এসিএলইডি তাদের বার্ষিক ‘কনফ্লিক্ট ইনডেক্স’ তৈরি করেছে। এই চার মানদণ্ডে স্কোরের ভিত্তিতে তালিকার দেশগুলোকে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

তালিকায় ‘অতি উচ্চ’ বা ‘চরম’ সংঘাতপূর্ণ দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ১০টি দেশকে। তালিকার ক্রম অনুসারে এগুলো হলো— ১. মিয়ানমার, ২. সিরিয়া, ৩. মেক্সিকো, ৪. ইউক্রেন, ৫. নাইজেরিয়া, ৬. ব্রাজিল, ৭. ইয়েমেন, ৮. ইরাক, ৯. গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র ও ১০. কলম্বিয়া।

উচ্চমাত্রার সংঘাতপূর্ণ ২০টি দেশের তালিকায় আছে— ১১. ফিলিস্তিন, ১২. হাইতি, ১৩. আফগানিস্তান, ১৪. বুরকিনা ফাসো, ১৫. মালি, ১৬. ভারত, ১৭. সুদান, ১৮. গুয়াতেমালা, ১৯. পাকিস্তান, ২০. হন্ডুরাস, ২১. সোমালিয়া, ২২. বাংলাদেশ, ২৩. কেনিয়া, ২৪. ক্যামেরুন, ২৫. ইথিওপিয়া, ২৬. জ্যামাইকা, ২৭. ভেনিজুয়েলা, ২৮. ফিলিপাইন, ২৯. ত্রিনিদাদ ও টোবাগো এবং ৩০. নাইজার।

’অশান্ত’ বা নিম্ন সংঘাতপূর্ণ ২০টি দেশ ও অঞ্চলের তালিকায় আছে— ৩১. দক্ষিণ সুদান, ৩২. তুরস্ক, ৩৩. পুয়ের্তো রিকো, ৩৪. মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, ৩৫. বুরুন্ডি, ৩৬. উগান্ডা, ৩৭. মোজাম্বিক, ৩৮. দক্ষিণ আফ্রিকা, ৩৯. রাশিয়া, ৪০. লেবানন, ৪১. স্বোয়াতিনি, ৪২. ইন্দোনেশিয়া. ৪৩. ইসরায়েল, ৪৪. ইরান, ৪৫. বেনিন, ৪৬. ইকুয়েডর, ৪৭. চাদ, ৪৮. ঘানা, ৪৯. লিবিয়া, ৫০. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

এই দেশগুলোর বাইরে অন্যান্য দেশ ‘নিম্ন’ সংঘাতপূর্ণ এলাকা।

এসিএলইডি বলছে, এ বছর পুরো বিশ্বে সহিংস ঘটনা আগের বছরের চেয়ে ২৭ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে ১ লাখ ৩৯ হাজারের বেশি। এসব ঘটনায় ১ লাখ ৪৭ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। ১৬৭টি দেশে গত এক বছরে একটি হলেও রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *