ঢাকার রাস্তায় গুলিবিদ্ধ ভুবন চন্দ্র মারা গেছেন

Slider ফুলজান বিবির বাংলা


রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা এলাকায় সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে গুলিবিদ্ধ মোটরসাইকেল আরোহী ভুবন চন্দ্র শীল (৫৫) মারা গেছেন।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

এর আগে গত সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ওই এলাকায় ফিল্মি স্টাইলে এলোপাতাড়ি গুলি ও কোপানোর ঘটনায় পথচারীসহ তিনজন আহত হন। আহতদের একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন (৫৪)। বাকি দু’জন পথচারী ভুবন চন্দ্র ও আরিফুল হক ইমন (৩০)।

এ সময় পুলিশ ধারণা করে, শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে উদ্দেশ করেই এই হামলা চালানো হয়েছিল। যার শিকার হয়েছেন বাকি দু’জন। আর এই ঘটনার পেছনে অপর শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের হাত রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইমন ও গুলিবিদ্ধ মামুন দু’জনই চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার আসামি। ওই মামলায় ২০ বছর জেলে থেকে তিন মাস আগে জামিনে বের হন মামুন। আর ইমন এখনো জেলেই রয়েছেন। তবে জেলের ভেতর থেকে ইমন মামুকে হুমকি দিয়েছিল। যার কারণে মামুন বের হতেই বাইরে থাকা ইমনের সহযোগীরা এই হামলা চালাতে পারে।

তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ওসি মাজাহারুল ইসলাম বলেন, গত সোমবার রাত ৯টার দিকে মগবাজার এলাকার পিয়াসা বার থেকে প্রাইভেট কারে করে মামুন, খোকন ও মিঠু নামে তিনজন শেরেবাংলা নগর থানার শুক্রাবাদ এলাকায় যাচ্ছিলেন। তারা তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার সিটি পেট্রল পাম্প ও বিজি প্রেসের মাঝামাঝি স্থানে এলে চারটি মোটরসাইকেলে সাত-আটজন সন্ত্রাসী মামুনকে লক্ষ্য করে গুলি করে। গাড়ি থেকে মামুন, মিঠু ও খোকন নেমে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় দুর্বৃত্তরা মামুনকে ধাওয়া করে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। তাদের ছোড়া এলোপাতাড়ি গুলিতে আহত হন পথচারী ভুবন চন্দ্র শীল ও আরিফুল হক। পরে তাদের তিনজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে চিকিৎসা নিয়ে মামুন ও আরিফুল চলে যান। ভুবন চন্দ্র চিকিৎসাধীন থাকেন। সেখানেই আজ মারা যান তিনি।

এ ঘটনায় তখন তেজগাঁও বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিজুল হক বলেন, এ ঘটনায় বেশ কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। আমরা জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রেখেছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *