নিউইয়র্কে জাতিসঙ্ঘের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ভাষণ দিচ্ছিলেন তখন ভবনের বাইরে ব্যাপক শোডাউন করেছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। কাছাকাছি জায়গায় দুই দলের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির কারণে সেখানে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায়। দুপুর ১টার দিকে উত্তেজনাকর স্লোগান দেয়ার সূত্র ধরে দুপক্ষই পরস্পরের দিকে বোতল ও খাবারের প্যাকেট ছুড়ে মারে। এতে সংঘর্ষ সৃষ্টির আশঙ্কায় মানুষদের দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করতে দেখা যায়।
বিএনপির সমাবেশ থেকে শেখ হাসিনাকে অনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করে নেতারা বলেন, অগণতান্ত্রিক ও প্রহসনের নির্বাচনে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী দাবিদার শেখ হাসিনার জাতিসঙ্ঘে ভাষণ দেয়ার কোনো অধিকার নেই। কারণ তিনি জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নন।
তারা বলেন, শেখ হাসিনা দেশের বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর জেল-জুলুমসহ হত্যার রাজনীতি করছেন।
অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে নেতারা বলেন, দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে আবারো শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চায় দেশের মানুষ। সব ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে আবারো ক্ষমতায় যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তারা।
এর আগে সকাল থেকেই জাতিসঙ্ঘের সদরদফতরের সামনের ৪৭ নম্বর সড়কে মুখোমুখি অবস্থান নেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকরা। আওয়ামী লীগ বর্তমান সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরে শান্তি সমাবেশ করে। অন্যদিকে বিএনপির সমর্থকেরা ‘গো ব্যাক গো ব্যাক’ স্লোগান দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তুলে। এ সময় সমাবেশ শান্তিপূর্ণ করতে সড়কের মাঝখান ব্যারিকেড দিয়ে রাখে নিউইয়র্ক পুলিশ।
নিউইয়র্ক বিএনপির সভাপতি সাইফুল বলেন, জনগণ বর্তমান সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে বর্তমান সরকারকে বিদায় নিতে হবে।
অন্যদিকে বর্তমান সরকার পদ্মা সেতুসহ নানা ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ তুলে ধরে নিউজার্সি আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমল আলী বলেন, সরকার নানা উন্নয়নমূলক কাজ করছে। যে কারণে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের উন্নয়নে বর্তমান সরকারের বিকল্প নেই।
ওয়াশিংটন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মহসিনা জান্নাত রিমি বলেন, বিএনপি দেশকে পেছনে ঠেলে দিতে চায়। কিন্তু আমরা বিএনপির ষড়যন্ত্র বরদাস্ত করবো না। লন্ডনের ষড়যন্ত্রকারীকে সফল হতে দেব না।
সমাবেশের এক পর্যায়ে দুই দলের মধ্যে কিছুটা উত্তেজনা দেখা দেয়। একে অপরের প্রতি বোতল ছুড়ে মারেন। তখন পুলিশ এসে বিএনপি কর্মীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়।