সিরিজের প্রথম ম্যাচের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। আজও ভেঙে দিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের টপ অর্ডার। যেখান থেকে বের হতে গিয়ে ১৮৭ রানেই ৭ উইকেট হারায় কিউইরা। তবে লোয়ার অর্ডারের প্রচেষ্টায় আড়াই শ’ পার হয় তাদের সংগ্রহ। ৪৯.২ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে স্কোরবোর্ডে জমা হয় ২৫৪ রান।
শনিবার মিরপুরের এ ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় সফরকারীরা। তবে কিউইদের টপ অর্ডারে ভাঙন সৃষ্টি করেন মোস্তাফিজ। সঙ্গ দিয়েছেন খালেদ আহমেদও।
দুই ওপেনারকেই ফেরান মোস্তাফিজ। তৃতীয় ওভারে এসে প্রথম শিকার করেন উইল ইয়ংকে। আগের ম্যাচে ফিফটি হাঁকানো এই ব্যাটার ফেরেন ৮ বল খেলে কোনো রান না করেই। আর সপ্তম ওভারে এসে ফেরান ফিন অ্যালেনকে। ১৫ বলে ১২ করে সৌম্যকে ক্যাচ দেন ফিন। মাত্র ২৬ রানে ২ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড।
অষ্টম ওভারে আসে তৃতীয় আঘাত। এবার আঘাত করেন খালেদ আহমেদ। নিজের অভিষেক ওভারেই চাঁদ বোসকে ফেরান এই পেসার। ১৯ বলে ১৪ করা এই ব্যাটাকে তাওহিদ হৃদয়ের ক্যাচ বানান তিনি। ৩৬ রানে ৩ উইকেট হারায় কিউইরা।
সেখান থেকে দলকে টেনে তুলেছেন হ্যানরি নিকোলস ও টম ব্লান্ডেল। তাদের ব্যাটে ভর করে ঘুরে দাঁড়ায় নিউজিল্যান্ড। শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে জবাব দিতে শুরু করে। তবে ত্রাতার ভূমিকায় দেখা দেন খালেদ। ভয়ংকর হয়ে উঠা জুটি ভাঙেন তিনি। ফেরান নিকোলসকে। আউট হবার আগে ৬১ বলে ৪৯ রান করেন নিকোলস।
ফলে ২৬.২ ওভারে এসে ১৩১ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় কিউইরা। আউট হওয়ার আগে অবশ্য টম ব্লান্ডেলের সাথে ১১২ বলে ৯৫ রান যোগ করেন নিকোলস। নিকোলস না পারলেও ফিফটি তুলে নেন ব্লান্ডেল।
বিপজ্জনক হয়ে ওঠা এই ব্লান্ডেলকে ফিরিয়েছেন হাসান মাহমুদ। ৩৪তম ওভারে স্ট্যাম্প ভাঙার আগে ৬৬ বলে ৬৮ রান করেন এই কিউই ব্যাটার। মাঝে রাচিন রবিন্দ্রকে ফেরান শেখ মেহেদী। ১৪ বলে ১০ রান করেন রাচিন। ফলে বেরিয়ে আসে নিউজিল্যান্ডের ইনিংসের লেজ। ১৬৬ রানে হারায় ৬ উইকেট।
এরপর কুল ম্যাকহোন ও কাইল জেমিসনের সমান ২০ রান। তবে কিউইদের অলআউট করার পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ান ইশ সোদি। ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন এই স্পিনার। যদিও ফিরতে পারতেন আরো আগেই, হাসান মাহমুদের মানকাড আউটের শিকারও হয়েছিলেন। ধরেছিলেন সাজঘরের পথও।
তবে টাইগার অধিনায়ক লিটন দাস ফিরিয়ে আনেন এই ব্যাটারকে। তুলে নেন আউটের আবেদন। শেষ পর্যন্ত খালেদের তৃতীয় শিকার হয়ে ফেরেন শেষ ওভারে এসে। ১৩ রান করেন ফার্গুনসন। শেষ তিন উইকেটে যোগ হয় ৬৭ রান।