যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি করতে চাচ্ছে বলে নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে। আমেরিকার এক কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলের সাথে সৌদি আরবের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য মার্কিন চাপের মুখে এই চুক্তি সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।
চুক্তির সম্ভাব্য রূপরেখা অনুযায়ী, সৌদি আরব তার ভূখণ্ডে হামলা হলে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সহায়তা পাবে। নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাপান বা দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে যুক্তরাষ্ট্রের যে ধরনের চুক্তি আছে, এটা অনেকটা সে ধরনেরই হতে পারে।
সাম্প্রতিক সময়ে ইয়েমেনে হাউছি বিদ্রোহীদের হামলার প্রেক্ষাপটে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত উভয়েই যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সামরিক চুক্তি করতে আগ্রহী হয়ে ওঠেছে।
রিয়াদ মনে করছে, বাইডেন প্রশাসনের সাথে ইসরাইল নিয়ে যে আলোচনা চলছে, তার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো এই সম্ভাব্য চুক্তি।
এছাড়া সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান তার দেশে একটি বেসামরিক পরমাণু কর্মসূচি উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সহায়তা চাচ্ছে। এছাড়া ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইসরাইলের ছাড় দেয়ার বিষয়টিও সৌদি দাবির মধ্যে রয়েছে।
উল্লেখ্য, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় বর্তমানে মার্কিন সৈন্যবাহিনী অবস্থান করছে। ওই দেশ দুটির মতো চুক্তি হলে সৌদি আরবেও মার্কিন সৈন্য মোতায়েন হবে কিনা তা স্পষ্ট নয়।
যুক্তরাষ্ট্র ২০২১ সালে সৌদি আরব থেকে তার প্যাট্রিয়ন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যাটারি প্রত্যাহার করে নেয়। তবে জুনে কংগ্রেসে পাঠানো হোয়াইট হাউসের এক চিঠিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে সৌদি আরবে ২,৭০০ মার্কিন সৈন্য রয়েছে।
সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর