মুন্সীগঞ্জের পঞ্চসারের মিরেশ্বরাই গ্রামে প্রতিবেশীদের হামলা থেকে ছেলেদের বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন সালাউদ্দিন বেপারী নামের এক ব্যক্তি। তার বয়স ৬২ বছর। নিহত সালাহউদ্দিনের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ঝগড়ার নামে পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।
অভিযোগ করা হয়েছে, রোববার রাত ১০টায় সাদ্দাম (২৮) পিতা মনির বেপারী, তাইজদ্দিন (৪০) পিতা মনির বেপারী, মাসুম (৩০), মৃত মহিউদ্দিন, সফি (৪০), দুলাল (৩৫) পিতা ফালান বেপারী, হুমায়ুন (২৮) পিতা মাইনুদ্দিন, ময়না (২৮) পিতা ফালান বেপারী, কাকন (২২) সফি বেপারী, আকাশ (২৩) পিতা তাইজুদ্দিন, আরাফাত (২২) পিতা তাইজুদ্দিন, পিয়াস (২৩) পিতা বাদল বেপারী, গিয়াস উদ্দিন (৬৫) পিতা অজ্ঞাতসহ বেশ কয়েকজন মিলে হকিষ্টিক, রামদা, চাপাতি নিয়ে সালাউদ্দিনের ওপর হামলা করে। প্রথমে কিলঘুষি দিয়ে সালাউদ্দিনকে ফেলে দেয়া হয়। তারপর প্রচণ্ড রকম এলোপাথারি পেটানো হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এখন ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিহত সালাউদ্দিনের ছেলে সবুজ ও রকিবের সাথে ঝগড়া লাগে সাদ্দাম গ্রুপের। আগেও এধরনের মারধর করা হয়েছিল। ওই ঘটনায়ও থানায় মামলা হয়েছে, বিচার শালিশ হয়েছে। তারই জের ধরে পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে ঝগড়া বাঁধিয়ে সালাউদ্দিনকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
চিকিৎসক ডা: এম এ কালাম জানান, সালাউদ্দিনকে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যুবরণ করেছে।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম জানান, সালাউদ্দিন হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে রাখা হয়েছে।