ঠিক সময়ে জ্বলে উঠলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান, দলের প্রয়োজনে দায়িত্ব তুলে নিলেন কাঁধে। ইফতেখারকে সাথে নিয়ে বিপদের মুখে থাকা দলকে পৌঁছে দিলেন বড় সংগ্রহের দোরগোড়াতে। শতাধিক রানের জুটি গড়ে দলকে এনে দেন ৪২ ওভারে ৭ উইকেটে ২৫২ রান।
জিতলেই ফাইনাল, হারলেই বিদায়; এমন সমীকরণের ‘অঘোষিত সেমিফাইনাল’ ম্যাচে বৃষ্টি শঙ্কা মাথায় নিয়েই মাঠে গড়িয়েছিল খেলা, খেলা শুরুর আগেও হয়েছে বৃষ্টি। যার ফলে ওভার কমে ইনিংস নির্ধারিত হয় ৪৫ ওভারে। খেলার মাঝে আবারো বৃষ্টি হলে খেলা নেমে আসে ৪২ ওভারে।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বৃষ্টি ভেজা আর প্রেমাদাসায় টসে জিতে ব্যাট করতে নেমেছিল পাকিস্তান। এদিন ৪.২ ওভারে মাত্র ২ রান তুলতেই উদ্বোধনী জুটি ভাঙে পাকিস্তানের। ফখর জামান ফেরেন ১১ বলে ৪ রানে। সেখান থেকে আব্দুল্লাহ শফিককে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় রত ছিলেন বাবর আজম। ৬৪ রানের জুটিও গড়ে তুলেছিলে মাত্র ৭৩ বলে।
তবে শফিককে রেখেই ফিরেন তিনি। কুশল মেন্ডিসের দারুণ স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হয়ে ফিরতে হয়েছে ৩৫ বলে ২৯ করে। এরপর শফিক ও রিজওয়ান মিলে পাকিস্তানকে পৌঁছে দেন তিন অংকের ঘরে। এরপরই ফের নামে ধস, ৮ রানে ২ আর ৩০ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারায় তারা।
ফিফটি তুলে নেয়া আব্দুল্লাহ শফিককে ফেরান পাথিরানা। ৬৯ বলে ৫২ রান করেন শফিক। পাথিরানার পরের শিকার মোহাম্মদ হারিস, ১২ বলে ৩ করে ফেরেন তিনি। আর মোহাম্মদ নাওয়াজকে (১২) ফেরান থিকসানা। ৫ উইকেট হারিয়ে ২৮ ওভারে ১৩০ রান তুলে পাকিস্তান।
পরের গল্পটা মোহাম্মদ রিজওয়ানের। ইফতেখার আহমেদকে সাথে ইনিংস টানতে থাকেন তিনি। আরো একবার প্রমাণ করেন পাকিস্তান দলে তার প্রয়োজনীয়তা কতখানি। ইফতেখারও কম যাননি, রান তুলেছেন পাল্লা দিয়ে৷ ৮৪ বল থেকে ১০৮ যোগ করেন দুজনে।
৪১তম ওভারে ৪০ বলে ৪৭ করে ইফতেখার ফিরলে ভাঙে এই জুটি। তবে রিজওয়ান অপরাজিত ছিলেন আসরের দ্বিতীয় ফিফটি তুলে, ৭৩ বলে ৮৬ রানে। ৬৫ রানে ৩ উইকেট নেব পাথিরানা, জোড়া উইকেট নেন মাদুশান।