মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে মুক্ত-উদার, সংযুক্ত, সমৃদ্ধ, নিরাপদ ও সহনশীলতা নিশ্চিত করার জন্য অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের উদ্দেশ্য এবং এটিই আমাদের অবস্থান।’
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) ওয়াশিংটনে একটি সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ঢাকায় রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সাম্প্রতিক মন্তব্য ‘খুব বেশি আত্মসচেতনমূলক নয়’।
ল্যাভরভ সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘এমন কিছু দেশ আছে, যারা শুধু নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে চায় এবং অন্যরা কী করতে পারবে আর কী করতে পারবে না- তা নির্ধারণ করে দিতে চায়। এসব দেশের এমন চেষ্টা প্রতিরোধ করতেই আমরা এ অঞ্চলে আমাদের অংশীদারদের সাথে কাজ করব।’
মিলার বলেন, ‘রাশিয়ার প্রতি সম্মান জানিয়ে আমি বলব, দেশটি তার দুটি প্রতিবেশীদেশে আক্রমণ করেছে, আগ্রাসন চালাচ্ছে। যেখানে তারা প্রতিদিন স্কুল, হাসপাতাল ও আবাসিক ভবনগুলোতে বোমা মেরেছে। তাদের অন্য কোনো দেশের আদেশ চাপিয়ে দেয়ার কথা বলা উচিত নয়।’
এক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র বলেন, যেকোনো গণতন্ত্রে সাংবাদিকদের অপরিহার্য ভূমিকা রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তাদের কাজ দুর্নীতি উন্মোচন করা, তাদের জীবনকে প্রভাবিত করে এমন তথ্য জানার নাগরিক অধিকার রক্ষা করা। তারা তাদের দৈনন্দিন জীবনে যে সমস্যাগুলোর মুখোমুখি হয় তা সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করা দরকার। নির্বাচিত কর্মকর্তাদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। যেমন আপনাদের উপস্থিতিতে আমি এখানে প্রতিদিন যা বলছি তার জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।’
মিলার বলেন, ‘সাংবাদিকদের হয়রানি, সহিংসতা বা ভয়ভীতি ছাড়াই তাদের কাজ করার পরিবেশ থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘সাংবাদিক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা সরকারকে জবাবদিহি করার চেষ্টা করে। তাদের ওপর বাংলাদেশ সরকারের পদ্ধতিগত এবং ব্যাপক নিপীড়নের বিষয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।’
সূত্র : ইউএনবি