ইনিংসের ১২তম ওভারে প্রথমবার আক্রমণে আসেন দুনিথ ভেল্লালেগে। তার প্রথম বলেই ফেরেন শুবমান গিল। এরপর যথাক্রমে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, লোকেশ রাহুল ও হার্দিক পান্ডিয়াকেও শিকার বানিয়েছেন এই বাঁহাতি স্পিনার। ভেল্লালেগের ফাইফারের দিনে দুর্বোধ্য হয়ে ওঠেন চারিথ আসালঙ্কাও। এই পার্ট-টাইম স্পিনারের ঝুলিতে গেছে ৪ উইকেট। সবমিলিয়ে এই দুই স্পিনারের ঘূর্ণি জালে দ্রুতই আটকে গেল ভারত।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৪৯ ওভার ১ বলে ২১৩ রান তুলে অলআউট হয়েছে ভারত। রোহিতের ব্যাট থেকে এসেছে ৫৩ রান। তাছাড়া রাহুল করেছেন ৩৯ রান।
গত ম্যাচের মতোই আজও দুর্দান্ত শুরু পেয়েছিল ভারত। ১১ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ছিল কোনো উইকেট না হারিয়ে ৮০ রান। বলা যায়, উড়ছিলেন দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল। কারণ তখনও বোলিংয়ে আসেননি দুনিথ ভেল্লালেগে! তিনি বোলিংয়ে এসেই গিল-রোহিতদের মাটিতে নামিয়ে আনেন। দুই ওপেনারকে ফেরানোর মাঝে বিরাট কোহলিকে দাঁড়াতেই দেননি এই স্পিনার।
শুরুটা শুবমান গিলকে দিয়ে। ১২ তম ওভারের প্রথম বলটি মিডল স্টাম্পের ওপর রেখেছিলেন ভেল্লালেগে। সেখানে মিড-অনে খেলতে গিয়ে বলের লাইন মিস করেন এই ওপেনার। ব্যাটের নিচের দিকের কানায় লেগে বল আঘাত হানে অফ স্টাম্পে। সাজঘরে ফেরার আগে গিলের ব্যাট থেকে এসেছে ১৯ রান।
নিজের পরের ওভারে কোহলিকে ফিরিয়েছেন ভেল্লালেগে। খানিকটা খাটো লেন্থের বল লেগের দিকে ঘুরিয়ে দৌড় দিতে চেয়েছিলেন কোহলি, কিন্তু বল চলে যায় শর্ট মিড উইকেটে দাঁড়িয়ে থাকা ফিল্ডারের হাতে। এই মাঠে চারটি ওয়ানডে সেঞ্চুরি করা কোহলি এদিন ৪ রানও করতে পারেননি।
নিজের প্রথম দুই ওভারে গিল-কোহলিকে ফেরানোর পর তৃতীয় ওভারেও উইকেটের দেখা পান ভেল্লালেগে। এবার তার শিকার রোহিত। ১৬তম ওভারের প্রথম বলটি স্টাম্পের ওপর রেখেছিলেন। গুড লেন্থের এই বল যতটা উচ্চতায় আসার কথা তার থেকে অনেক নিচু হয়েছে, সেটাতেই বোকা বনেছেন রোহিত। বোল্ড হওয়ার আগে ভারত অধিনায়ক তার নামের পাশে যোগ করেছেন ৫৩ রান।
তিন অঙ ছোঁয়ার আগেই তিন উইকেট হারানো ভারতকে টেনে তুলেন লোকেশ রাহুল-ইশান কিষাণ জুটি। কিন্তু রাহুলকে ৩৯ রানে থামিয়ে ৬৩ রানের চতুর্থ উইকেট জুটিও ভাঙ্গেন ভেল্লালেগে। সঙ্গীকে হারিয়ে বেশিক্ষণ উইকেটে টিকতে পারেননি ইশানও। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৩৩ রান।
এর পরের গল্পটা শুধুই লঙ্কান স্পিনারদের। ১৬ রানের ব্যবধানে পরের ৪ ব্যাটারকে সাজঘরে ফেরান ভেল্লালেগে-আসালঙ্কা জুটি। শেষদিকে অক্ষর প্যাটেল কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও দলকে অলআউটের শঙ্কা থেকে বাঁচাতে পারেননি। ২৬ রান করা এই ব্যাটারকে সাজঘরে ফিরিয়ে ভারতের কফিনে শেষ পেরেকটা মারেন মাহিশ থিকশানা।