এডিসি হারুনকাণ্ডে যা বললেন সঙ্গে থাকা নারী কর্মকর্তা

Slider টপ নিউজ

রাজধানীর শাহবাগ থানায় ডেকে নিয়ে ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে থানায় ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এরইমধ্যে দেশজুড়ে আলোচনায় পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার হারুন অর রশিদ।

মারধরে আহত দুই ছাত্রলীগ নেতা হলেন- কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ।

এ ঘটনায় গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন এডিসি হারুনের সঙ্গে থাকা নারী কর্মকর্তা। ওই নারী কর্মকর্তা রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব আজিজুল হকের স্ত্রী এবং ডিএমপির একজন অতিরিক্ত উপকমিশনার।

দেশের প্রথম সারির একটি গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, চিকিৎসার জন্য আমি বারডেম হাসপাতালে গিয়েছিলাম। এডিসি হারুন সেখানে গিয়েছিলেন তাঁর সহকর্মী হিসেবে। হাসপাতালটি তাঁর আওতাধীন এলাকায় বলেই সেখানে যান তিনি।

কী হয়েছিল জানতে চাইলে ওই নারী কর্মকর্তা বলেন, ‘আপনারা সবকিছু ইনফর্মড (জানেন)। তারপরও কেন জিজ্ঞেস করছেন।’

এদিকে মারধরে আহত ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হাসপাতাল থেকেই ভয়াবহ সেই রাতের ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন।

তিনি অভিযোগ করেন, ওসির কক্ষে নিয়ে মাটিতে ফেলে ১০/১৫ মিনিট ধরে তাকে মারধর করে। একপর্যায়ে হারুন তাঁর পিস্তলের বাট দিয়ে মুখ থেঁতলে দেন, এতে দাঁত ভেঙে যায়।

আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, ‘তিনি এবং শহীদুল্লাহ হলের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহম্মেদ মুনীম শাহবাগ দিয়ে যাচ্ছিলাম। তখন বারডেম হাসপাতালের সামনে তার এলাকার বড়ভাই রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হককে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় তিনি আমাকে জানান, তাঁরসঙ্গে পুরোনো দ্বন্দ্ব নিয়ে এডিসি হারুনের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়।’

তিনি বলেন, ‘এর কিছুক্ষণ পর এডিসি হারুন তাঁর পুলিশ ফোর্স ডেকে আমার ওই বড় ভাই এবং শরীফ আহম্মেদ মুনীমকে ডেকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যান। এরপর আমি উদ্বিগ্ন হয়ে কিছুক্ষণ পর থানায় গেলে ওসির কক্ষে ফেলে আমাকে ১০/১৫ মিনিট মারধর করে। হারুন তাঁর পিস্তলের বাট দিয়ে আমার মুখ থেঁতলে দেয়, এতে আমার দাঁত ভেঙে যায়।’

নাঈমের বন্ধুদের সূত্রে জানা যায়, এডিসির হারুনের মারধরে আনোয়ার হোসেনের সামনের চারটি দাঁত গোড়া থেকে ভেঙে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় আরও তিনটি দাঁত।

এদিকে মারধরের ঘটনার পর এডিসি হারুনকে একদিনেই দুইবার বদলি করা হয়। প্রথমে রমনা বিভাগ থেকে সরিয়ে ডিএমপির দাঙ্গা দমন বা পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট বিভাগে সংযুক্ত করা হয়। এরপর তাঁকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) বদলি করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *