তাওহীদ হৃদয় যখন উইকেটে এসেছিলেন, ৮৩ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তখন ধুঁকছে। সেখান থেকে মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে বিপর্যয় সামাল দিয়ে একটা সময়ে বাংলাদেশের জয়ের ক্ষীণ সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলার কাজটি করেছেন হৃদয়। তবে শেষ পর্যন্ত পারলেন না। ব্যক্তিগত ৮২ রান করে ১৯৭ রানের মাথায় ফিরলেন এই ব্যাটার।
২৫৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা বাংলাদেশের রান এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত রান ৪৪ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ২০০। জয়ের জন্য দরকার ৩৬ বলে ৫৮ রান।
২৫৮ রান তাড়ায় এদিন প্রথম পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে করে ৪৭ রান। পাওয়ার প্লে’র পরপরই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে টাইগার ইনিংস। ৫৫ রানে মেহেদী হাসান মিরাজ ও ৬০ রানে নাঈম শেখকে বিদায় করেন লংকান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। এরপর ৭০ রানের মাথায় সাকিব আল হাসানকে ফেরান মাথিশা পাথিরানা। আর ৮৩ রানের মাথায় দুনিথ ভালালাগের বলে লিটন কট বিহাইন্ড হলে বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। এরপরই জুটি বাঁধেন মুশফিক-হৃদয়। ১৫৫ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ২৯ রান করে ফেরেন মুশফিক। আর ১৮১ রানের মাথায় ফেরেন শামীম। ১৯৭ রানে হৃদয়ের ফেরার পর ৩ রান যোগ হতেই ফেরেন তাসকিন আহমেদ।
এর আগে, প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৫৭ রান করে শ্রীলংকা। টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে লংকানদের প্রথম উইকেট নেন হাসান মাহমুদ। তবে ৩৪ রানে প্রথম ব্যাটার হিসেবে দিমুথ করুনারত্নের ফেরার পর উইকেটে জমে গিয়েছিলেন পাথুম নিশাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস। এই জুটিতে ৭৪ রান আসার পর অবশেষে সেটি ভাঙে পেসার শরিফুল ইসলামের আঘাতে। ১০৮ রানে নিশাঙ্কাকে (৪০) ফেরানোর পর ১১৭ রানে ফেরান মেন্ডিসকেও (৫০)।
শ্রীলংকা তাদের চতুর্থ উইকেট হারায় ১৪৪ রানের মাথায়। তাসকিনের বলে সাকিবের হাতে ক্যাচ উঠিয়ে দেন আগের ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলা চারিথ আসালঙ্কা। দলের সঙ্গে আর ২০ রান যোগ হতে ফেরেন ধনাঞ্জায়া ডি সিলভাও। হাসানের বলে উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ দেন তিনি।
ষষ্ঠ উইকেটে ৬০ রান যোগ করেন দারুণ ব্যাট করতে থাকা সামারাবিক্রামা এবং অধিনায়ক দাসুন শানাকা। শানাকাকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন হাসান। তবে শানাকা ফেরার পর আরও দুই উইকেট হারালেও বিধ্বংসী ব্যাট চালিয়ে যান সামারাবিক্রামা। এক পর্যায়ে জাগিয়েছিলেন সেঞ্চুরি সম্ভাবনাও। শেষ পর্যন্ত মাইলফলকের দেখা না পেলেও ৯৩ রান করে দলকে নিয়ে যান ২৫৭ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহে।
এদিন বাংলাদেশের পেসাররা একটি রান আউট ছাড়া সব উইকেট নিলেও রান দেওয়ায় স্পিনাররা ছিলেন ভীষণ কৃপণ। হাসান মাহমুদ ৩টি, তাসকিন আহমেদ ৩টি ও শরিফুল ইসলাম নেন ২টি উইকেট। তবে তাদের সবার ইকোনমিই ছিল ছয় কিংবা তার বেশি। আর ১০ ওভার করা নাসুম মাত্র ৩১ রান দিয়েছেন ১ মেডেনসহ। সমান ওভার করে সাকিব দিয়েছেন ৪৪ রান। আর ৩ ওভারে মিরাজ দিয়েছে ১৪ রান।