জি-২০ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সেলফি দেখে বিএনপি পশ্চাৎযাত্রা শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার সঙ্গে জো বাইডেনের সেলফি দেখে বিএনপির এখন কী হবে? পতনযাত্রা নয়, পশ্চাৎযাত্রা। এখন কেবলই পেছনের দিকে যেতে হচ্ছে। বাইডেন সাহেব শেখ হাসিনার সঙ্গে ছবি তুলেছেন কেমন করে? এসব ভাল লাগেনি বিএনপির।’
আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আজকের পদযাত্রায় জনগণ নেই, জনগণ বিএনপির সঙ্গে নেই। কোথায় গেল তাদের উত্তাল তরঙ্গের ঢেউ? তাদের গণমিছিলের যে হাল দেখলাম তাতে মনে হয় না জনগণ আর গণমিছিলে আসবে। বাংলাদেশ বৃহৎ শক্তির শক্তিকেন্দ্র। এ বলয় বন্ধুত্বের বলয়, এখানে কোনো শত্রুতা নেই। জাতির পিতা বলে গেছেন, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নেই।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি সারাদেশে মিথ্যার মহামারি ডেকে এনেছে। তাদের গ্রামের নেতাকর্মীরাও মিথ্যা বলে।’
দলের নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আগামী নির্বাচন পর্যন্ত এ শান্তি সমাবেশ চলবে। বিএনপির নেতাকর্মীরা এখন অন্ধকার দেখছে। মিছিল শেষ করে হাত-পা গুটিয়ে শুয়ে পড়েছে। একটারও রাতে ঘুম আসবে না। রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘আগামীকাল ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট আসছেন বাংলাদেশে। এখন শুধু আসবে। এখন নেগেটিভ আসবে না, সব পজিটিভ।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির উপরে উপরে আন্দোলন, তলে তলে নির্বাচন। সব আসনে প্রার্থী দিবে। প্রার্থী না দিলে তারেক রহমানের মনোনয়ন বাণিজ্য কেমনে হবে? বিএনপি খেলায় হেরে গেছে। শুধু নির্বাচন হওয়া বাকি। ফাইনাল খেলায়ও হেরে যাবে।’
শান্তি সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডাক্তার মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনসহ মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা।