গাজীপুরের শ্রীপুরে চম্পা বেগম (৩২) নামের এক পোশাক শ্রমিককে চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠছে তাকওয়া পরিবহনের বাসের চালক ও তার সহকারীর বিরুদ্ধে। গতকাল শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে উপজেলার নয়নপুর এলাকার মেঘনা সাইকেল কারখানার সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে বাস থেকে ফেলে শ্রমিক হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা তাকওয়া পরিবহনের কয়েকটি বাস ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নিহত চম্পা বেগম ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ থানার মাইজবাগ নিজগাঁও গ্রামের আবুল কালামের স্ত্রী এবং একই গ্রামের চান্দুরা সুরুজ আলীর মেয়ে। চম্পা স্বামীর সঙ্গে উপজেলার গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি এলাকায় ভাড়া থেকে হ্যামস ফ্যাশন কারখানায় চাকরি করতেন।
নিহতের ভাজিতা সুমন মিয়া জানায়, উপজেলার গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি এলাকায় পরিবারসহ ভাড়া বাসায় থাকতেন চম্পা বেগম। তার ছোট বোন শ্রীপুর উপজেলার নয়নপুর এলাকায় বাসা ভাড়া থেকে গার্মেন্টসে চাকরি করে। ছোট বোনের বাসায় তার বাবা গ্রাম থেকে বেড়াতে যায়। এ খবর পেয়ে চম্পা তার বাবার সঙ্গে দেখা করতে সেখানে যান।
পরে বাবার সঙ্গে দেখা করে তিনি গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে নয়নপুর থেকে তাকওয়া পরিবহনের বাসে ওঠেন। কিছুদূর যাওয়ার পর বাসের সহকারীর সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে চম্পাকে ফেলে দেওয়া হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন, যোগ করেন সুমন মিয়া।
প্রত্যক্ষদর্শী জালাল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা পাশেই বসেছিলাম। এ সময় তাকওয়া পরিবহনের বাসে একটি শব্দ হয়। আমরা তখন মহাসড়কে এক নারীকে গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কংকন কুমার বিশ্বাস জানান, জড়িত বাসকে শনাক্তকরণের চেষ্টা চলছে। বাসটিকে শনাক্ত করা গেলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা বাস থেকে ফেলে হত্যা করা ওই নারীর মরদেহ এখনো পাইনি। তার মরদেহ হাসপাতাল থেকে স্বজনরা নিয়ে গেছেন বলে জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।’