গত পাঁচবছরে মহানগরীতে দৃশ্যমান কোনো উন্নয়ন করতে পারেননি বরিশালের সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। আর এই উন্নয়ন ব্যর্থতার জন্য সরকারকে দায়ী করলেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার বরিশাল ক্লাব মিলনায়তনে মেয়াদের শেষ বাজেট ঘোষণার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই কথা বলেন।
তিনি বলেন, নগরীর গুরুত্বপূর্ণ বেশকটি খাল দখলমুক্ত করে খনন ও সৌন্দর্যবর্ধন, রাস্তাঘাটের উন্নয়নসহ সার্বিক উন্নয়নে একাধিক বড় প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া ছিল। কিন্তু সরকার প্রকল্প অনুমোদন না দেওয়ায় তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।
চলতি অর্থবছরের জন্য ৪৪২ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৩৮৭ টাকার বাজেট ঘোষণা করেন তিনি।
গত পাঁচবছরের সাফল্য-ব্যর্থতার মূল্যায়ন নগরবাসী করবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি দায়িত্বে থাকার সময় নগরীর বর্জ্য স্থাপনাসহ সিটি করপোরেশনের সব সম্পদের তালিকা করা এবং সব কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আনার চেষ্টা করেছি।’
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের অক্টোবরে মেয়র হিসেবে সাদিক আবদুল্লাহ দায়িত্ব নেন। তিনি মেয়র হওয়ার পর বরিশালবাসীর প্রত্যাশা ছিল, নগরের চেহারা বদলে দেবেন। কিন্তু পাঁচ বছরে একটিও বড় প্রকল্প পায়নি বরিশাল সিটি করপোরেশন। তার মেয়াদে প্রতি অর্থবছরেই কমেছে বাজেটের আকার। সাদিক আবদুল্লাহ পাঁচবছর আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রথম বাজেট ঘোষণা করেছিলেন ৫৪৮ কোটি টাকা। যা গত ২০২১-২২ অর্থবছরে দাঁড়িয়েছিল ৪১৫ কোটি।
উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন না হওয়ায় সাদিক আবদুল্লাহ সরকারকে দায়ী করার বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) বরিশাল মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম বলেন, পাঁচবছরে সরকারি কোনো প্রকল্প কেন অনুমোদন হলো না। সেটা নগরবাসীর মধ্যে বড় প্রশ্ন। তাহলে কেনো নগরবাসীর কাছ থেকে উচ্চহারে কর নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সে অনুযায়ী নাগরিক সেবা পাচ্ছেন না। সেবার পরিবর্তে করের টাকায় কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতা পরিশোধ যুক্তিহীন।
বাজেট ঘোষণার সময় নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি কে এম জাহাঙ্গীর হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস, প্যানেল মেয়র গাজী নইমুল হোসেন, রফিকুল ইসলাম খোকন, সিটি করপোরেশনের সচিব মাসুমা আক্তারসহ আরও অনেকে।