বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কৌশলগত যোগাযোগ বিষয়ক সমন্বয়কারী জন কিরবি। বুধবার পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
ব্রিফিংয়ে কিরবিকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিযোগ করেছেন যে গত মাসে স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের নির্বাচনের বার্তা দিয়ে আসলে প্রক্রিয়া হস্তক্ষেপ এবং ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র।
এর জবাবে কিরবি জানান, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আগের অবস্থানেই আছে। তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সমর্থন করি। আমরা বাংলাদেশি জনগণকে সমর্থন করি। আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করি। আমাদের এ অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি।
নির্বাচন সংক্রান্ত প্রশ্নের সঙ্গে উঠে আসে ড. ইউনূস প্রসঙ্গও। কিরবিকে প্রশ্ন করা হয়, নিউ ইয়র্ক টাইমসে একটি বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে যার শিরোনাম ছিল ‘কোয়াইটলি ক্রাশিং ডেমোক্রেসি: মিলিয়ন অন ট্রায়াল ইন বাংলাদেশ’। এই প্রতিবেদনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিপক্ষে চলমান বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলা হয়েছে। বলা হচ্ছে, ড. ইউনূস ‘বিচারিক হয়রানি’র শিকার। তার পক্ষে বার্তা দিয়েছেন ১০০ নোবেল বিজয়ীসহ ১৮০ বিশ্বনেতা। যাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও হিলারি ক্লিনটনও। ড. ইউনূস নিয়ে আপনাদের অবস্থান কী?
জবাবে কিরবি নির্বাচন নিয়ে কথা বললেও ড. ইউনূস নিয়ে আলাদা করে কিছু বলেননি।