শরিফুলের দুরন্ত বোলিংয়ের শিকার ফখর

Slider খেলা


বাংলাদেশের দেওয়া ১৯৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রথম থেকেই শরিফুল ইসলামের বলে সমস্যায় পড়েন ইমাম-উল-হক ও ফখর জামান। বলে দারুণ মুভমেন্ট পান এই পেসার, বাতাসে সুইং করছিল কিছুটা। তবে কাঙ্খিত উইকেট পেতে তাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে দশম ওভার পর্যন্ত। শরিফুলের করা ব্যক্তিগত পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে ফ্লিক করতে গিয়ে এলবিডাব্লিউ হন ফখর। দলীয় ৩৫ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ২০ রান করে ধরেন প্যাভিলিয়নের পথ।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পাকিস্তানের সংগ্রহ ১১ ওভার শেষে ১ উইকেটে ৪৪ রান। উইকেটে আছেন বাবর আজম এবং ইমাম।

এর আগে, পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ের ৫ম ওভার শেষেই হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় ম্যাচ। মাঠ ছেড়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। মূলত, লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইট যথাযথ কাজ না করায়ই মূলত মাঠ ছাড়েন খেলোয়াড়রা।

এদিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শাহীন আফ্রিদি, নাসিম শাহ ও হারিস রউফদের গতির আগুনে পুড়ে ১১ ওভার ২ বল বাকি থাকতেই ১৯৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই নাসিম শাহর বলে শূন্য রানে ফেরেন আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা মেহেদী হাসান মিরাজ। আর পঞ্চম ওভারে শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে ব্যক্তিগত ১৬ রানে আউট হন এশিয়া কাপে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা লিটন দাস।

পাকিস্তানের বোলিং স্পেল শাহীন ও নাসিম শুরু করলেও অষ্টম ওভারে বোলিংয়ে আসেন গতিময় পেসার হারিস রউফ। এসেই তোপ দাগেন বাংলাদেশ শিবিরে। দারুণ খেলতে থাকা মোহাম্মদ নাঈমকে কট এন্ড বল করেন হারিস। দশম ওভারে হারিসের করা ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওভারে আবারও বাংলাদেশের উইকেট পতন। এবার তাওহীদ হৃদয়কে সরাসরি বোল্ড করেন তিনি। ৪৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারায় চলে যাওয়া দলকে এরপর টেনে তোলেন সাকিব-মুশফিক। দুজনে মিলে কাটায় কাটায় ১০০ রানের জুটি গড়েন।

১৪৭ রানে সাকিবের পতনের পর (৫৩) পর শামীম পাটোয়ারিকে নিয়ে ২৭ রানের জুটি গড়েন মুশফিক। ১৭৪ রানের শামীমের পতনের পর শুরু হয় মড়ক। ১৯ রান তুলতেই হারায় শেষ ৫ উইকেট। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৪ রান আসে মুশফিকের ব্যাট থেকে।

৬ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন হারিস। ৫ ওভার ৪ বল করে নাসিমের উইকেট সংখ্যা ৩টি। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন শাহীন, ইফতিখার আহমেদ এবং ফাহিম আশরাফ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *