গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলার বিচার শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে বিচারকার্য শুরু হয়।
মামলার অন্য তিন আসামি হলেন- একই প্রতিষ্ঠানের আশরাফুল হাসান, নূর জাহান বেগম ও মোহাম্মদ শাহজাহান। শুনানির সময় ড. ইউনূস আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তবে আদালতে তার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন।
তিনি বলেন, ‘ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান শেখ মেরিনা সুলতানা আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী ও শ্রম পরিদর্শক তরিকুল ইসলামের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করেন।’
এর আগে দুপুর ১২টা ২৬মিনিটে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট খুরশীদ আলম খান ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী।
গত ২২ আগস্ট ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। তার আংশিক সাক্ষ্যগ্রহণের পর ৩১ আগস্ট ফের সাক্ষ্য নেয়ার জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু ওইদিন সকালে এই সাক্ষীর বাবা মারা যাওয়ায় বাকি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্যে আজকের দিন ধার্য করা হয়।
এর আগে গত ৬ জুন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন আদালত।
গত ৬ জুন মামলার চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করার মধ্যদিয়ে বিচার শুরু হয়। কিন্তু এ মামলার অভিযোগ গঠনের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে ড. ইউনূস হাইকোর্টের আবেদন করেছিলেন। হাইকোর্ট সে আবেদন খারিজ করার পর তার বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করেন আইনজীবীরা। আপিল আবেদনেও হাইকোর্টের সেই খারিজ আদেশ বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এরপর নিয়ম অনুযায়ী বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানার আদালতে গত ২২ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সেটির শুনানি আবারও অনুষ্ঠিত হবে।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এই মামলা করে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে এ মামলা করেছিলেন অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ড. ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে তারা শ্রম আইনের লঙ্ঘনের বিষয়ে জানতে পারেন। এর মধ্যে ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা থাকলেও তাদের স্থায়ী করা হয়নি। শ্রমিকদের অংশগ্রহণের তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের দেয়ার কথা থাকলেও তা দেয়া হয়নি।