দেশের কারাগারগুলোতে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণের চেয়ে বেশি বন্দী রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আজ রোববার জাতীয় সংসদ অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম. আব্দুল লতিফের প্রশ্নের লিখিত উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের কারাগারগুলোতে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণের চেয়ে বেশি বন্দী রয়েছে। কারাগারের ধারণক্ষমতা ৪২ হাজার ৮৬৬ জন হলেও বর্তমানে বন্দীর সংখ্যা ৭৭ হাজার ২০৩ জন। যশোর, সিলেট, দিনাজপুর, ফেনী, পিরোজপুর ও মাদারীপুর কারাগার বাদে সব কারাগারে ধারণক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত বন্দী আটক রয়েছে। এরমধ্যে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে সর্বোচ্চ ৯ হাজার ৭৬৫ জন বন্দী রয়েছে। এই কারাগারের ধারণক্ষমতা ৪ হাজার ৫৯০ জনের। ঝালকাঠি জেলা কারাগারে সর্বনিম্ন ১৮৯ জন বন্দী রয়েছে।
আসাদুজ্জামান খান কামাল আরও জানান, কারাগারের ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি একটি চলমান প্রক্রিয়া। বর্তমানে ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, খুলনা, নরসিংদী ও জামালপুর এই ৫টি কারাগার নির্মাণ ও সম্প্রসারণের কাজ চলছে। কারাগারগুলোর নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হলে বন্দীদের ধারণক্ষমতা প্রায় ৫ হাজার জন বৃদ্ধি পাবে।
আওয়ামী লীগের সদস্য নিজামউদ্দিন হাজারীর এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী আরও জানান, কারাগারে আটক বন্দীদের মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োজিত আছে। এছাড়া বন্দীদের বিভিন্ন ধরনের ইনডোর খেলাধুলা, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, মেডিটেশন, বই ও পত্র-পত্রিকা পড়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এরপরও কারাগারের ভেতরে অপরাধের কুফল সংক্রান্ত সচেতনতামূলক ডকুমেন্টারি বা চলচ্চিত্র নিয়মিত প্রদর্শন করা হয়। এ ছাড়া কারা কর্মকর্তা ও কারা পরিদর্শকরা কারাগার পরিদর্শনকালে মানবিক মূল্যবোধ সম্পর্কিত বিষয়ে আলোকপাত করেন।