এশিয়া কাপে নিজেদের বাঁচা-মরার ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৩৩৪ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে রীতিমতো ধুঁকছে আফগানিস্তান। প্রথম পাওয়ার প্লের দশ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে করেছে মাত্র ৩৭ রান। এই সময়ে বাংলাদেশের রান ছিল ১ উইকেট হারিয়ে ৬০।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই আফগান শিবিরে আঘাত হানেন পেসার শরিফুল ইসলাম। ইনফর্ম আফগান ওপেনার রাহমানুল্লাহ গুরবাজকে (১) এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে বিদায় করেন তিনি। আরেক ওপেনার ইব্রাহিম জাদরানের সঙ্গে এখন মাঠে আছেন রহমত শাহ।
পাকিস্তানের লাহোরের উইকেট ব্যাটিংবান্ধব, সেটি বিবেচনা করে এদিন টস জিতে ব্যাটিং নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। অধিনায়কের সিদ্ধান্তের যথার্থতা প্রমাণ করেন বাংলাদেশের ব্যাটাররাও। দুর্দান্ত সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্ত। শেষদিকে ঝোড়ো ব্যাটিং করেছেন মুশফিকুর রহিম ও সাকিব। তাতে আফগানিস্তানের সামনে ৩৩৫ রানের বিশাল লক্ষ্য দাঁড় করায় টাইগাররা।
ওয়ানডেতে এটি বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। এ বছরই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৪৯ ও ৩৩৮ রান করেছে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে এটি অবশ্য সর্বোচ্চ রান। এর আগে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রামে আফগানদের বিপক্ষে ৩০৬ রান করেছিল টাইগাররা।
এশিয়া কাপে এর আগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে ৫ উইকেটে হেরে যায় বাংলাদেশ। ফলে এ ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই। জয় পেলে তাকিয়ে থাকতে হবে আফগানিস্তান ও শ্রীলংকার মধ্যে গ্রুপ ‘বি’র শেষ ম্যাচে। সেই ম্যাচে শ্রীলংকা জিতলে কোনো সমীকরণ ছাড়াই সুপার ফোর খেলবে বাংলাদেশ। তবে আফগানিস্তান জিতলে প্রত্যেক দলের একটি করে জয় হবে। সেক্ষেত্রে তাকিয়ে থাকতে হবে সুপার ওভারের দিকে।