ঢাকা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি নিয়মিত ফ্লাইটে দেশে ফেরার সময় বিমানবন্দরে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের কাছে এই অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন,‘ প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা ফ্লাই করে (সিঙ্গাপুর) এসেছি। আমাদেরকে হয়রানি করার জন্য সরকারের যে সমস্ত, যত রকম কৌশল আছে, এখানেও তাই ফেস করতে হয়েছে আমাকে। সবাইকেই (বিরোধীদলের) করতে হয়। আমাদের যারা বিরোধীদল করি, আমাদের যাওয়ার সময় ইমিগ্রেশনে হয়রানি করে, ফেরার সময় হয়রানি করে- এটা আমাদের থাকেই। এটা জীবনের অংশ হয়ে গেছে। আমি চিকিৎসার জন্য গেছি, তারপরও এগুলো ফেস করতে হয়।’
সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভুয়া চেকের বিষয়ে সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এগুলো নোংরা চিন্তা, এসব নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না। দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, এই সরকার এমন একটি সমাজ-জগৎ তৈরী করেছে, যেখানে নোংরামি ছাড়া কিছুই নেই। এটা দুঃখজনক বিষয় ‘
তিনি বলেন, ‘আমরা যারা রাজনীতিবিদ, রাজনীতি করি, আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে জড়িত ছিলাম এবং চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত আছি, আমাদেরকে জড়িয়ে এ সমস্ত নোংরা কথাবার্তা মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ায়। যেটা মনে করি, এর উত্তর দেওয়াটাও আমার জন্য লজ্জাকর ব্যাপার।’
এর আগে গত ২৪ আগস্ট চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যান বিএনপি মহাসচিব ও তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম। দুজনেই নানা শারীরিক সমস্যা ভুগছিলেন।
২০১৫ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যান মির্জা ফখরুল। সেখানে তার ইন্টারনাল ক্যারোটিড আর্টারিতে সমস্যা ধরা পড়ে। এ ছাড়া তার গলার ধমনিতে রক্ত চলাচলেও জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল। সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে তার চিকিৎসা হয়। তাকে চিকিৎসার ফলোআপের জন্য প্রতিবছর সিঙ্গাপুরে যেতে হয়। তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগমের সম্প্রতি একটি অস্ত্রোপচার হয়। তিনিও সিঙ্গাপুরের র্যাফেলস হসপিটালে চিকিৎসা নেন।