আফ্রিকার দেশ কঙ্গোতে জাতিসংঘ বিরোধী বিক্ষোভে পুলিশসহ অন্তত ৪৩ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও ৫৬ জন। বুধবার কঙ্গোর গোমা শহরে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সে এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সাল থেকে কঙ্গোতে ক্ষোভের মুখে রয়েছে জাতিসংঘের মিশন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সহিংসতা প্রতিরোধ ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হচ্ছে জাতিসংঘ।
বিক্ষোভকরারীরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ডাক দেয়। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ফুটেজে দেখা যায়, বেসামরিকরা লাঠি দিয়ে এক পুলিশকে বেঁধে পেটাচ্ছে। রয়টার্স এই ফুটেজের সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি।
বুধবার বিবৃতিতে কঙ্গোর সেনাবাহিনী জানায়, আন্দোলন সহিংসতায় ছয়জন নিহত হয়েছেন। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৫৮ জন। তবে জাতিসংঘের একটি সূত্র জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা আটজন। এর মধ্যে দুই সেনা ও একজন পুলিশ সদস্য রয়েছে।
পরে বৃহস্পতিবার আরেকটি বিবৃতিতে সেনাবাহিনী জানায়, বিক্ষোভের নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩ জনে। আহতের সংখ্যা ৫৬।
আন্তর্জাতিক রেড ক্রসের প্রধান অ্যানি সিলভি লিন্ডার জানিয়েছেন, বিক্ষোভের পর ছুরির আঘাত ও গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অনেকে চিকিৎসা নিতে আসছেন। অনেকের মৃত্যুও হয়েছে।
এর আগে ২০২২ সালে জাতিসংঘ বিরোধী এক বিক্ষোভে তিনজন শান্তিরক্ষীসহ ১৫ জন নিহত হয়েছিলেন।
কঙ্গোতে বছরের পর বছর দরে চলা সহিংসতা ও প্রাকৃতিক দুযোর্গ বেড়েছে মানবিক সংকট। গোমার ৫৫ লাখ মানুষ ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। অনেকে আশ্রয় নিয়েছে পার্শ্ববর্তী প্রদেশে।