জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী বলেছেন, কোনো অপমানই এখন আর তার গায়ে লাগে না। সঙ্গে ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়া একটি ছবি। তবে কী কারণে তার এমন স্ট্যাটাস, সেটি স্পষ্ট করেননি তিনি। নাকি এটি কোনো অভিনয়ের সংলাপ!
পোস্টে চঞ্চল এও লিখেছেন, ‘সেটা হোক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অথবা ব্যক্তিজীবনে। কারণ বয়স যেমন হয়েছে, ধৈর্যও বেড়েছে পাল্লা দিয়ে। এটা আমার দুর্বলতা নয়।’
প্রিয় তারকার এমন পোস্টে রহস্যের দানা বেঁধেছে শুভাকাঙ্ক্ষী ও ভক্তদের মনে। মন্তব্যের ঘরে অনেকেই তার সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অভিনেতার সহকর্মীরাও।
নির্মাতা সকাল আহমেদ লিখেছেন, ‘বিষয়টি ইকটু (একটু) চিন্তার। এমন সহজ সরল কথা কিন্তু প্রতিপক্ষকে অপমান করার মতো। তোর সরলতার তো একটা শক্তি আছে। এই শক্তি গায়ে না লাগলেও প্রতিপক্ষের মনে ঠিকই লাগবে।’
অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি লিখেছেন, ‘আগে বাড়ার এটাই উপযুক্ত ভাবনা। তোমার উজ্জ্বল অবস্থান সেটা বলে দেয় বন্ধু। ব্যর্থ এবং অযোগ্য মানুষেরা, নিজেদের ব্যর্থতার যাতনায় চারপাশে একটু ঘুরবেই, এমনই লা-পাত্তা এবং বৃন্দাজ দু-লাইন লিখে দিবা। ব্যস!’
অভিনেত্রী চিত্রলেখা গুহের কথায়, ‘এটা তো একদমই আমার কথা রে। আমার তো হজম করার ক্ষমতাও অনেক। কোনো এসিডিটি হয় না।’
এদিকে যে ছবির ক্যাপশনে চঞ্চল চৌধুরী এমনটা লিখেছেন, সেই একই লুকে সম্প্রতি ধরা দিয়েছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘লাস্ট ডিফেন্ডার অব মনোগামী’ সিনেমায়। এতে মধ্যবয়সীর একটি চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি।
অনেকেই ধারণা করছে, এটি হয়তো ‘মনোগামী’ সিনেমার সংলাপ। চরকির ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’ প্রজেক্টের ১২টি সিনেমার একটি ‘মনোগামী’।