আসন্ন সংসদ নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের ওপর মার্কিন সরকারের চাপ অব্যাহত রয়েছে। এমন পরিস্থতি বাংলাদেশে কট্টরপন্থিরা আরও শক্তিশালী হতে পারে এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করতে পারে। ভারত তাদের এ উদ্বেগের কথা যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছে বলে এ ইস্যু নিয়ে সম্পৃক্ত কর্মকর্তারা বলেছেন। গতকাল সোমবার হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ ইস্যু নিয়ে ভারত তাদের উদ্বেগের কথা সম্প্রতি বিভিন্ন মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছে।
দিল্লিও জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়, কিন্তু এ ইস্যুতে মার্কিন প্রশাসনের অতিরিক্ত চাপ বাংলাদেশকে চীনের কাছাকাছি ঠেলে দিতে পারে। সেইসঙ্গে এটি উগ্রবাদ ও মৌলবাদী শক্তিকে উৎসাহিত করবে। যা শেখ হাসিনা সরকার সফলভাবে দমিয়ে রেখেছে।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও এর কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। সেইসঙ্গে ২০২৩ সালের মে মাসে বাংলাদেশি নাগরিকদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছে দেশটি। বলা হয়েছে, আসন্ন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হতে যারা বাধা দেবে তাদের ওপর পড়বে এ নিষেধাজ্ঞা।
এমন পরিস্থিতিতে চীন বাংলাদেশে সুযোগ নিচ্ছে বলে উদ্বেগ ভারতের। গত ২৩ আগস্ট জোহানেসবার্গে ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরপর চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, শি জিনপিং শেখ হাসিনাকে বলেছেন চীন বহিরাগত হস্তক্ষেপের বিরোধিতায় বাংলাদেশকে সমর্থন করে। সেইসঙ্গে বেইজিং তাদের মূলস্বার্থে একে অপরকে সমর্থন করার জন্য ঢাকার সঙ্গে কাজ করবে।
সেই বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক পারস্পরিক শ্রদ্ধার ওপর নির্ভরশীল এবং দুটি দেশই একে অন্যের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপকে সমর্থন করে না।
এছাড়া ভারতের ধারণা, জামায়াতে ইসলামী শক্তিশালী হলে চরমপন্থী শক্তিকে উত্সাহিত করতে পারে। যা ভারতের পূর্ব এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর জন্য হুমকি হতে পারে।