এবার ডাব বিক্রি করতে ব্যবসায়ীদের লাগবে ট্রেড লাইসেন্স ও টিআইএন। বাজারে চলবে তদারকি। দেখা হবে তাদের ট্রেড লাইসেন্স ও টিআইএন আছে কি না। ডাবের দাম বেড়ে যাওয়ার আসল কারণ যাচাই ও বাজার তদারকি করতে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আজ সোমবার জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিকার অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় ডাব ব্যবসায়ী ও ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তাদের বৈঠকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
বৈঠকে ডাবের পাইকারি ব্যবসায়ীরা দাবি করেন, ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাবের কারণে ডাবের চাহিদা আগের চেয়ে অনেক বেশি। যোগান কম থাকায় ডাবের দাম বেড়েছে।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘আমরা সাইজ ভেদে আড়ত থেকে ডাব কিনে থাকি। ভালো মানের ডাবগুলো গত দুই মাস আগে কিনেছি প্রতিটি ৮০ টাকা দরে। বর্তমানে সেগুলো কিনতে হচ্ছে ১২০ টাকা থেকে ১৪০ টাকায়। এগুলোতে আমাদের সব খরচ রেখে বিক্রি করি ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা। এতে আমাদের প্রতি ডাবে সর্বোচ্চ ১০-১৫ টাকা লাভ হয়।’
বৈঠকে আড়ৎদাররা জানান, সারাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ঢাকায় প্রতিদিন প্রায় আড়াই লাখ পিস ডাব আসে। ক্রয়মূল্য ও পরিবহন খরচসহ ডাব আড়ৎদারের ঘরে পৌঁছাতে প্রতি পিসে অন্তত ৮০-৮৫ টাকা খরচ হয়। তারা খরচ ও লাভ রেখে সাইজ ভেদে ডাবের পিস ১২০-১৪০ টাকায় বিক্রি করেন। আর খুচরা ব্যবসায়ীরা বিক্রি করেন প্রতি পিস ১৫০-১৮০ টাকা পর্যন্ত।
ডাবের অস্বাভাবিক দাম বেড়ে যাওয়ায় পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা একে অপরকে দুষলেও এর আসল কারণ ও প্রতিকার খুঁজতে তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিকার অধিদপ্তর। বৈঠকে আড়ৎদার ও খুচরা ডাব ব্যবসায়ীদের ব্যাখ্যায় নাখোশ ভোক্তা অধিদপ্তর। যে কারণে ডাবের দাম বাড়ার কারণ যাচাই ও বাজার তদারকি করতে আগামীকাল থেকে মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছে সংস্থাটি।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘ব্যবসা করলে অবশ্যই লাভ করবেন। তবে একটা উপলক্ষ সামনে এনে দাম বাড়িয়ে দেবেন সেটা হতে পারে না। ৩০০-৩৫০ টাকা দিয়ে বাংলাদেশে মানুষ দুটি ডাব কিনতে হবে, আমরা কি সেই পর্যায়ে পৌঁছে গেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামীকাল থেকে ডাবের দাম বৃদ্ধির বিরুদ্ধে তদারকি করা হবে। আমি আমার কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়ে দেব, তারা সারা দেশের বাজারে গিয়ে দেখবে, আপনাদের ট্রেড লাইসেন্স আছে কি না, টিআইএন আছে কি না। আপনারা ভ্যাট-ট্যাক্স ঠিকঠাক দিচ্ছেন কি না।’