দৈনিক বাংলার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক শরিফুজ্জামান পিন্টু ও প্রতিবেদক আরিফুজ্জামান তুহিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। গতকাল রোববার বিকেলে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের (সদর) বিচারক কৌশিক আহাম্মদ খোন্দকার এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, চলতি বছরের গত ৬ জানুয়ারি দৈনিক বাংলা পত্রিকার প্রধান শিরোনামে ‘২৫৫ জনের তালিকায় বদির কেউ নেই’ শীর্ষক প্রকাশিত সংবাদ প্রকাশিত হয়। মনগড়া তথ্য দিয়ে ২০ জনকে টার্গেট করে এবং ২০ জনের নাম প্রকাশ করে সংবাদটি প্রকাশিত হয় বলে দাবি করেন কেউ কেউ। ওই সংবাদে দৈনিক যুগান্তরের তৎকালীন নিজস্ব প্রতিবেদক এবং বৈশাখী টেলিভিশন ও দৈনিক সংবাদের সাবেক কক্সবাজার প্রতিনিধি সাংবাদিক শফিউল্লাহ শফির নামও প্রকাশ করেন।
পরে ১০ জানুয়ারি শফিউল্লাহ শফি বাদী হয়ে দৈনিক বাংলার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক শরিফুজ্জামান পিন্টু ও প্রতিবেদক আরিফুজ্জামান তুহিনের বিরুদ্ধে আদালতে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কক্সবাজার জেলা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। ডিবি পুলিশের ওসি আদালতের নির্দেশনা মতে পরিদর্শক সুজন কান্তি বড়ুয়াকে মামলাটি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা দীর্ঘ ছয় মাস তদন্ত শেষে গত ১৫ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। ধার্য্য তারিখ মতে আদালত গত ৬ জুলাই দুপুরে দুই আসামি শরিফুজ্জামান পিন্টু ও আরিফুজ্জামান তুহিনকে ২৭ আগস্টের মধ্যে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ধার্য্য তারিখে এ দুই আসামি আদালতে হাজির না হওয়ায় দুইজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের (সদর) পেশকার আমির হোসেন বলেন, গত ১০ জানুয়ারি সাংবাদিক শফিউল্লাহ শফির দায়ের করা শতকোটি টাকার মানহানি মামলার দুই আসামিকে ২৭ আগস্ট আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু আসামিরা হাজির না হওয়ার কারণে আদালত দুইজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আসামি দুজন হলেন শরিফুজ্জামান পিন্টু ও আরিফুজ্জামান তুহিন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আয়াছুর রহমান বলেন, বিগত ৬ মাস তদন্ত শেষ করে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছিলেন। ওই তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে বিচারক দুই আসামিকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু আসামিরা হাজির না হওয়ার কারণে আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।