প্রতিবছর লক্ষাধিক শিক্ষার্থী নানা রকম শিক্ষা ইনস্টিটিউট থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করে শ্রমবাজারে প্রবেশ করছে। দক্ষতা ও কর্মসংস্থানের অভাবে দিন দিন বাড়ছে বেকারত্ব। আর এর প্রভাব পড়ছে দেশের অর্থনীতিতে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুসারে সম্প্রতি বাংলাদেশের ৪৬ শতাংশ স্নাতকই বেকার। এই ভয়াবহ পরিস্থিতির হাত থেকে বাঁচতে হলে সতর্ক থাকতে হবে ছাত্রাবস্থাতেই। আর ছাত্রজীবনে টাকা রোজগার করার সহজ কয়েকটি উপায় নিয়ে
আজকের আয়োজনে লিখেছেন খালিদ আহমেদ রাজা
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
পড়ালেখার পাশাপাশি বাড়তি রোজগারের সোর্স হিসেবে ওয়েড ডেভেলপমেন্ট করে খুব ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করছে আমাদের দেশের হাজারো শিক্ষার্থী। সাম্প্রতিক তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর এই যুগে ছোট-বড় প্রায় প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানেরই ব্যক্তিগত একটি আকর্ষণীয় এবং প্রফেশনাল ওয়েবসাইট থাকা খুব প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেমন, ঋরাবৎৎ.ঈড়স, ঋৎববষধহপবৎ.ঈড়স, চবড়ঢ়ষব চবৎ ঐড়ঁৎ.ঈড়স, টঢ়ড়িৎশ.ঈড়সসহ লোকাল মার্কেটপ্লেসলোতেও আপনি একজন ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে কাজ করতে পারবেন। আপনি আপনার দক্ষতা অনুযায়ী এসব মার্কেটপ্লেসে প্রতি ঘণ্টায় ২ ডলার থেকে শুরু করে ১০০ ডলারেরও বেশি আয় করতে পারবেন।
গ্রাফিক ডিজাইন
আপনার যদি আঁকাআঁকির প্রতি বিশেষ প্রবণতা থাকে পক্ষান্তরে শখেরবশে টুকটাক আঁকাআঁকি করে থাকেন। তাহলে আপনি চাইলে আপনার শখের বশে এই আঁকাঝোঁকার নেশাকে আধুনিক ট্যুলস প্রয়োগ করে ক্লায়েন্ট উপযুক্ত করে পড়ালেখার পাশাপাশি করার রাস্তা খুলতে পারেন। বর্তমানে প্রতিযোগিতার মার্কেটপ্লেসে যে কোনো প্রতিষ্ঠানেরই ব্যক্তিগত পণ্য বা পরিষেবা কাক্সিক্ষত ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছে দিতে প্রচারণার কাজে আকর্ষণীয় ও সম্পর্কিত ডিজাইনের দরকার পড়ে। কন্টেন্ট রাইটিং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েই চলেছে নতুন নতুন ওয়েবসাইট, সংবাদ পোর্টালের সংখ্যা। আর এসব ওয়েবসাইট পক্ষান্তরে সংবাদ পোর্টালে ব্লগ বা আর্টিকেল লেখার জন্য দরকার পড়ছে কন্টেন্ট রাইটারের। কিন্তু শুধু ব্লগ লেখার মধ্যেই কন্টেন্ট রাইটারের ক্ষেত্র আবদ্ধ নয়। বরং ট্রান্সক্রিপশন, ট্রান্সলেশন, রিজিউম, সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন কন্টেন্ট, কপিরাইটিংসহ বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পণ্যের বর্ণনা, রিভিউ, বিজ্ঞাপনসহ নানারকম ক্ষেত্রে স্কিলফুল কন্টেন্ট রাইটারের প্রয়োজনীয়তা সুস্পষ্টভাবে দেখা যায়। আপনিও কন্টেন্ট রাইটিং করে পড়াশোনার সঙ্গে ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
ইউটিউবিং
এটি এমন এক প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনি আপনার ক্রিয়েটিভিটি প্রকাশ করে একটি বেশ ভালো পর্যায়ে যেতে পারেন। প্রচুর মানুষ রয়েছে যাদের গল্পের শুরুটা হয়েছিল ইউটিউব থেকে। আজ তারা বেশ ভালো পর্যায়ে রয়েছে। তাছাড়া এখন এটা অনেকের আয়ের উৎস হয়েছে। আপনি চাইলে তাদের মতও আয় শুরু করে দিতে পারেন বিভিন্ন ক্রিয়েটিভিটি প্রকাশের মাধ্যমে। একটা সময় ছিল যখন নিজের সক্ষমতা চাইলেও কোথাও প্রকাশ করা সম্ভব হতো না অথচ আজ আপনি ইচ্ছা করলেই আপনার দক্ষতা ইউটিউবের মাধ্যমে যেকোন সময় প্রকাশ করতে পারছেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং
এফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে মূলত একটি প্রসেস যার সাহায্যে সহজেই যে কোনো প্রডাক্টকে পৃথিবীর যে কারোর কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়। তবে এটি আজকাল আর শুধু পণ্য তৈরি এবং তার সঙ্গে প্রমোশনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। মডার্ন এই যুগে মার্কেটিং ইদানীং নিজেদের উপস্থাপনের একটি যোগ্য জায়গাও বটে। তাই আজকে আমি আলোচনা করব এফিলিয়েট প্রচারের পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন নিয়ে যার ফলে নতুনরা ভোগান্তি ছাড়াই এই প্ল্যাটফর্মের সাহায্যে আয় করতে পারেন। আপনি যদি এই আর্টিকেলটি পড়ে ফেলেন তা হলে খুব সহজেই বুঝতে পারবেন। প্রকৃতপক্ষে এফিলিয়েট প্রচার কী বা কীভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে পারেন বিস্তারিত গাইডলাইন প্রদান করা হয়েছে।