প্রসবব্যথা উঠলে অন্তঃসত্ত্বা মেয়েকে নিয়ে চিরিংগা পৌর শহরের হাসপাতালে যাচ্ছিলেন মা। সিএনজিচালিত অটোরিকশায় আরও ছিলেন তার শ্বশুর-শাশুড়িসহ আত্মীয়রা। অটোরিকশাটি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ার আমতলী এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি লরির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে ও মা। আহত হন অটোরিকশার আরোহীরা।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের আমতলী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন পাবর্ত্য জেলা বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নের বুড়িচিকং এলাকার আবদুস সালামের স্ত্রী রোকেয়া বেগম (৫৫) ও হারবাং ইউনিয়নের ভান্ডারির ডেপা এলাকার মামুনুর রশিদের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী জেসিমন আক্তার (২০)।
আহতরা হলেন জেসমিনের শ্বশুর দুদু মিয়া (৬০), শাশুড়ি রাবেয়া বেগম (৫৫), আত্মীয় শাহিনা আক্তার (৪৫) ও মো. আরিফ (২৪)। আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, দু-এক দিনের মধ্যে জেসমিনের সন্তান প্রসবের তারিখ ছিল। এ জন্য কয়েকদিন আগে মা রোকেয়া বেগম লামা থেকে মেয়ের শ্বশুড়বাড়ি হারবাং আসেন। আজ দুপুরে মেয়ে জেসমিন আক্তারের প্রসবব্যথা শুরু হলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু পথেই তিনি মায়ের সঙ্গে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা বলেন, দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে দুজন নারী ঘটনাস্থলে মারা গেছেন। এর মধ্যে একজন অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ওই অন্তঃসত্ত্বার পেটে থাকা সন্তানও মারা গেছে। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
চিরিংগা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খোকন কান্তি রুদ্র বলেন, ‘কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামগামী লরির চাকা পাংচার হলে অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে জেসমিন আক্তার ও তার মা রোকেয়া বেগম মারা যান।’
দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্ততি চলছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।