ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের মৃত্যু অবশ্যই পুতিনের নির্দেশে হয়েছে বলে দাবি করেছেন মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র সাবেক কর্মকর্তা ড্যানিয়েল হফম্যান। সিআইএর মস্কো স্টেশনের সাবেক এই প্রধান বলেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই পুতিনের নির্দেশেই প্রিগোজিনের মৃত্যু হয়েছে।’
ড্যানিয়েল হফম্যান বিশ্বাস করেন, গত জুনে ব্যর্থ বিদ্রোহের পর প্রিগোজিনকে ইচ্ছে করেই গ্রেপ্তার করেনি ভ্লাদিমির পুতিন প্রশাসন। এমনকি তাকে মারার জন্য এক ধরনের নিরাপত্তা চলাফেরার স্বাধীনতা দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, ‘ভ্লাদিমির পুতিনের নিরাপত্তা একটা ইস্যু হয়ে পড়েছিল।গত জুনের শেষে যখন প্রিগোজিন বিদ্রোহ করেছিল, তখন তাকে বিশ্বাসঘাতক বলা হয়েছিল। ফলে এমন লোককে পুতিন বাঁচতে দেবেন না-এটাই স্বাভাবিক।’
গতকাল বুধবার রাত ১১টার দিকে রাজধানী মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গগামী একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। বিমানে সাতজন যাত্রী ও তিনজন ক্রু ছিল। যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন প্রিগোজিন ও ওয়াগনারের উপপ্রধানও।
ব্যক্তিগত বিমানটি উড্ডয়নের আধা ঘণ্টার কম সময়ের মধ্যে বিধ্বস্ত হয়। বিধ্বস্ত হওয়ার পর ওই উড়োজাহাজে আগুন ধরে যায়। এখন পর্যন্ত ১০ জনেরই মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রাশিয়ার পক্ষ থেকে নিশ্চিতভাবে প্রিগোজিনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়নি।